মনজুরুল আমিন দোয়েল:

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, আমি নেতা নই আমি কর্মী। নেতা হয়ে নয়, মন্ত্রী হিসেবে নয় জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের একজন সেবক হিসেবে সেবা করে যেতে চাই। আমার প্রতিপত্তি ধন সম্পদের কোনো প্রয়োজন নাই। প্রধানমন্ত্রী হাওরবাসীর উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। এজন্য দক্ষিণ সুনামগঞ্জ-জগন্নাথপুরের নলকূপ ও স্যানিটেশন সমস্যা দূর করনের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, নিরাপদ পানির কষ্ট আমি বুঝি। নিরাপদ পানির অভাব আর কলেরায় আমার আত্মীয় স্বজন মারা গেছে। আমি নিজেও কষ্ট পেয়েছি। আর কোনো মানুষ যাতে নিরাপদ পানির অভাবে কষ্ট না পায় তার জন্য নলকূপ ও স্যানিটেশন দেয়া হচ্ছে। কাউকে কষ্টে রাখা হবেনা। নিরাপদ নলকূপ ও স্যানিটেশনের পাশাপাশি আরও অনেক বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। শীঘ্রই ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে দিরাই রাস্থা সংলগ্নে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের কাজ শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয় হবে, রাস্থা ঘাট, ব্রীজ কালভার্ট কোনো কিছুর অভাব রাখা হবেনা। কত কিছু যে হবে চিন্তা করা যাচ্ছে না শুধু একটাই অনুরুধ আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আমরা শত বছরের গোলামী থেকে মুক্তি পেয়েছি। তা না হলে আমরা এখনো পরাধীন থাকতাম, তাদের অত্যাচার সহ্য করতাম। জননেত্রী শেখা হাসিনার সরকার উন্নয়নের রোল মডেল।

শুক্রবার সকাল ১১ টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজেন “ স্যানিটেশনের অভ্যাস করি, সুস্থ সবল বাংলাদেশ গড়ি, পান করলে নিরাপদ পানি, সুস্থ থাকবো সবাই জানি ” এই স্লোগানকে ধারণ করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওয়ায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৫০ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪ হাজার গভীর নলকূপ স্থাপনের প্রথম পর্যায়ে উপজেলার দরগাপাশা ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের ৫ শত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে নলকূপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সফি উল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোখলেসুর রহমান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: ফারুক আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রউফ সরকার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী পিএস হুমায়ুন কবির, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দোলন রানী তালুকদার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আব্দুল হেকিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী তহুর আলী, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, ওসি তদন্ত আসাদুজ্জামান হাওলাদার, জেলা পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম জহুর, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ মিয়া, দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন, পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশীদ আমিন, পশ্চিম বীরগাও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন প্রমুখ।