ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দোয়ায়াবাজার প্লাবিত

 

দোয়ারাবাজার সংবাদদাতা:

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে গত তিনদিনের ভারি বর্ষণ ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতিবৃষ্টি ও ঢলের পানিতে অধিকাংশ পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। রোপনকৃত আউশ-ইরি ফসল, আমনের বীজতলা ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। গবাদিপশুর খাদ্য সংকটের আশংকায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এখানকার কৃষকরা। রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে পানির নিচে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত। উপজেলা সদরে সুরমার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করছে।

চিলাই, মৌলা, মরা চেলা, চলতি, কালিউরি, খাসিয়ামারা, ধ‚মখালী ও ছাগলচোরাসহ উপজেলার সকল নদী-নালার পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার সুরমা, বোগলাবাজার, লক্ষীপুর, নরসিংপুর, দোয়ারাবাজার সদর ছাড়াও বাকি চার ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

বোগলাবাজারের বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, বোগলাবাজার ইউনিয়নে বহমান চিলাই নদীর ক্যাম্পেরঘাট-ইদুকোনা রাস্তায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও একই জায়গায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে বিভিন্ন হাওরের শতাধিক একর আউশ-ইরি ফসল তলিয়ে গেছে। চাষীদের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বোগলাবাজার ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ, বোগলাবাজার এবং এর আশপাশের প্রায় ১৫টি গ্রামের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ক্যাম্পেরঘাট-ইদুকোনা রাস্তা ও অধিকাংশ গ্রামের বাড়িঘরে হাটুসমান পানি থাকায় গবাদিপশু নিয়ে এখনকার কৃষকরা বেকায়দায় পড়েছেন। টিউবওয়েল ও নলক‚প পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় এখানে বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে। অনেক পরিবার আছে যারা এখনো রান্না করা খাবার খেতে পারছে না। তারা শুকনো খাবারের উপর নির্ভর করছে। ইদুকোনা দক্ষিন জামে মসজিদে পানি ঢুকে চলমান নির্মাণাধীন মসজিদের কাজের ৪৮ বস্তা সিমেন্ট পানিতে ভিজে যায়।