কমলগঞ্জে গৃহবধূকে নির্যাতনেরে অভিযোগ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের পতনঊষার গ্রামে স্বামীর নির্যাতনে এক সন্তানের জননী গৃহবধূর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিজ ঘরে সাহানা বেগম (২৫) কে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় নিহত গৃহবধূর ভাই বোনের লাশ নিয়ে কমলগঞ্জের শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে চলে আসেন। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী ফেরদৌস মিয়া (৩০) কে আটক করে।

নিহত সাহানা বেগম কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক গ্রামের কদর আলীর মেয়ে। পাঁচ বছর আগে কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে ফেরদৌস মিয়ার সাথে তাঁর বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দেড় বছরের এক ছেলে সন্তানও রয়েছে।

নিহত গৃহবধূ সাহানা বেগমের বড় ভাই মোহাম্মদ আলী অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার রাত ১২টায় ফেরদৌস মিয়া আমাকে ফোন করে জানায় সাহানা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারপর রাতেই বাড়িতে গিয়ে দেখি বোনের মৃতদেহ। এরপর স্বামীর বাড়ির লোকজন মৃত বোনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে আমরা হাসপাতাল থেকে বোনের মৃতদেহ শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসি।

তিনি আরও বলেন, আমার বোনকে নির্যাতন করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের প্রস্তুতির কথাও তিনি জানান।

গৃহবধূর ভাই আরও বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে সাহানার স্বামীর চলন-বলন ভালো লাগছিল না। কয়েকদিন আগে বহিরাগত মেয়েদের সাথে বোনের স্বামী ফেরদৌস মিয়ার মুঠোফোনে আলাপ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। এ নিয়ে আমার বোনের উপর অত্যাচার করে স্বামী ফেরদৌস। পরে খবর পেয়ে নিজে উপস্থিত থেকে তাদের পারিবারিক বৈঠকে সেটি সমাধান করে দিয়েছিলেন ভাই মোবারক।

এ ব্যাপারে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে আটকাবস্থায় স্বামী ফেরদৌস মিয়া বলেন, শুক্রবার রাতে খাওয়া দাওয়ার পর সাহানার বুকে ব্যথা দেখা দেওয়ার পর ঔষধ খাওয়াই। এরপর অবস্থা আরও খারাপ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাকে নির্যাতন করার প্রশ্নই আসে না।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী বলেন, লাশের ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি বুঝা যাবে। স্বামী ফেরদৌসকে আপাতত আটক রাখা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।