বড়লেখায় মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকের উপর হামলা

রাহেলা সিদ্দিকা, মৌলভীবাজার :

মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের ২নং ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল আলম শিমুলকে তার অপকর্মের কথা জিজ্ঞেস করলে দৈনিক মানবজমিনের বড়লেখা প্রতিনিধি ও মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের বড়লেখা ও জুড়ী শাখার সাধারন সম্পাদক মোঃ রুয়েল কামালের উপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। ২৯ মে এ ব্যাপারে বড়লেখা থানায় মামলা হয়েছে। মামলার স্বাক্ষীকে হুমকি ও তার উপর হামলা করতে খুজে বেড়াচ্ছে তার লোকেরা। এ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখার কাঠালতলী গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শহিদুল আলম শিমূল গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার বিভিন্ন বিষয়ের ফরিয়াদীগণ তার স্মরণাপন্ন হলে ওই এলাকার প্রচলিত সালিশের নিয়ম অনুযায়ী বাদী-বিবাদীর নিকট থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা নিজ জিম্মায় নিয়া পরবর্তীতে বিচার শেষ হওয়ার পর নিয়ম মোতাবেক পক্ষগণকে জামানতের টাকা ফেরত না দিয়া নিজে আত্মসাৎ করে এলাকার জনগনের ক্ষতি সাধন করে আসছেন। তাছাড়া তিনি জনগণের সহিত দূর্ব্যবহার অন্যায় আচরণ পূর্বক একটি লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহণ করতঃ তা যত্রতত্র প্রদর্শন করে জনমনে ভয়ভীতি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন এলাকায়। যেন এক নতুন অধিপতি। একাধিক সূত্রে জানা যায়, শহিদুল আলম শিমূল বিভিন্ন ব্যক্তির জমি বেদখলসহ অবৈধ কর্মকান্ডে ভাড়ায় ব্যবহৃত হন। এমনকি তার কবল থেকে মসজিদও রেহাই পায়নি। উপজেলার চুকারপুঞ্জি গ্রামের তারা মিয়ার লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেছে শিমুল। তিনি বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য, হুইপ আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন আহমদের নিকট মৌখিক ভাবে বিচারপ্রার্থী হন। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে হুইপ জানান, সাংবাদিকের উপরও হামলার বিষয়টি তিনি জেনেছেন, ঢাকা থেকে এলাকায় আসলে তিনি হস্তক্ষেপ করে বিষয়টির সমাধান করবেন।

এলাকা সূত্রে জানা গেছে সাংবাদিক মোঃ রুয়েল কামাল মানবাধিকার কর্মী হওয়ায় তার নিকট বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আইনী সহযোগিতার জন্য লোকজন আসেন। এলাকার অনেককেই মৌখিক অভিযোগ দেন যে, শিমুল বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ড চালাচ্ছে কথাগুলো দীর্ঘদিন যাবত তার নিকট আসছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি শিমুলের কাছে জানতে চাইলে তার উপর হামলা চালান শিমুল ও তার লোকজন। রুয়েলের উপর হামলার বিষয়ে শহিদুল ইসলাম শিমুলকে প্রধান আসামী এবং তার সহযোগী নাজির খা গ্রামে রকিব আলীর পুত্র নাজিম উদ্দিন, ছলিম উদ্দিনের পুত্র রাসেল, উত্তর বাগমারা গ্রামের মৃত আজমল আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম, কাঠালতলী গ্রামের মৃত সরফ উদ্দিনের পুত্র আলিম উদ্দিনকে আসামী করে বড়লেখা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ সহিদুর রহমান বলেন, দুই পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, ব্যাপারটি নিয়ে বড়লেখা প্রেসক্লাবের সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, সেক্রেটারী এডভোকেট গোপাল দত্ত বাবলু আপোষ মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন। যেহেতু ঘটনাটি তাদের পারিবারিক সেহেতু, মীমাংসা হওয়াই ভালো।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক তোফায়েল আহমদ মুঠোফোনে জানান, জানমালের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্র নিয়ে অপব্যবহার করলে লাইন্সেস বাতিল হবে।