৬ ঘন্টা পর শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের অবরোধ প্রত্যাহার

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সিএনজি অটোরিকশা চালককে মারধরের প্রতিবাদে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল ৬ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে যান চলাচল আবারও স্বাভাবিক হয়।

বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩টি শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বানে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের হস্তক্ষেপে বৈঠকের উদ্যোগ নিলে বেলা ১২টার পর থেকে আবারও কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা সদরের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতির সভাপতি মো. মনির মিয়া জানান, বুধবার সড়কে মাইক্রোবাসকে পাস দিতে বিলম্ব হওয়ায় শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট এর সামনে কমলগঞ্জের সিএনজি অটোচালক আনোয়ার হোসেনের গতিরোধ করে তাকে মারধর করেন শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন।

এ ঘটনার জেরে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক স্ট্যান্ডের সিএনজি চালক সমিতির নেতৃবৃন্দকে লাঞ্চিত করেন কামাল হোসেন ও তার লোকজন। এর প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলের একজন মাইক্রোবাস চালককে মারধর করে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। ফলে ১২২৩নং মিনিবাস চালক সমিতি, ২৩৫৯নং সিএনজি অটোরিকশা চালক সমিতি ও ২৪০৩নং ট্রাক ও ভারী যানবাহন চালক সমিতি ঐক্যবদ্ধভাবে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়ে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখে।

খবর পেয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ ও মাধবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসিদ আলী মিলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানে সোমবার শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে একটি সামাজিক বৈঠকের উদ্যোগ নিলে বেলা ১২টার পর থেকে এ পথে সকল প্রকার যানবাহন চলাচল শুরু হয়।

অভিযুক্ত শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সাথে বিরোধ ও উত্তেজনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন সোমবার সামাজিক বৈঠকে দেখা যাবে আসলে কে দায়ী।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ও কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমদ ৬ ঘণ্টা কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুই উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবারই সামাজিক বৈঠকে এর সমাধান করা হবে। তবে এর মধ্যে উভয়পক্ষ যেন শান্ত থাকে তাও বলে দেওয়া হয়েছে।