ভাটি অঞ্চল নিয়ে যার স্বপ্ন সাধনা

এমএ রহিম

কোনো পরিবর্তন দেখেনি অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের ভেতরে। ১৩ বছর আগে সন্ধ্যা রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এমএ মান্নানের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওই দিন তিনি সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়ে আন্তরিকভাবে বাড়ির বৈঠকখানায় বসিয়েছিলেন। সেদিন তিনি এলাকা নিয়ে তার স্বপ্ন সাধনার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন তার এলাকার সিংহভাগ মানুষ বসবাস করেন হাওরে। এসব মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে তিনি কাজ করতে চান। এসব কাজ করতে হলে হতে হবে এমপি মন্ত্রী। তাই তিনি ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন এমপি হওয়ার। তিনি এমপি হয়েছেন। হয়েছেন মন্ত্রী। ঠিকই এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছেন।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেখা। এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। মানুষের সুখে দুখে ছুটে যাচ্ছেন পাশে। আগামীতে আরো বড় পরিকল্পনা নিয়ে সুনামগঞ্জকে সাজিয়ে তুলতে চান। মন্ত্রী এম এ মান্নানের মুখ থেকে ওই ধরনের বক্তব্য বের হয়ে আসে।

সহকর্মী বন্ধু মঞ্জুরুল আমিন দোয়েলের আমন্ত্রণে ১৩ জুন বিকেল ৫ টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ বাজারে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের বাড়িতে প্রবেশ করি পায়ে হেঁটে। এসময় সেখানে ছিলেন জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন। হিজল নামক ওই বাড়ির বৈঠকখানায় প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে মন্ত্রী এমএ মান্নান সাদাসিধে পোশাকে বসে আছেন। সামনে অনেক দলীয় নেতাকর্মী। তাদের উদ্দেশ্যে বললেন আউকা আমরা ইফতার সমাবেশে যাই।

উপজেলা চত্বরে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত হন মন্ত্রী মান্নান। সাধারণ মানুষের সাথে একাকার হয়ে যান। অনেকের সাথে হাত মিলিয়ে কুশল জিজ্ঞেস করেন। এক পর্যায়ে তিনি মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। ইফতারের পূর্বে একে একে সবাই বক্তব্য দেন।

সবশেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য শুরু করেন মন্ত্রী এমএ মান্নান। গ্রাম্য সহজ সরল ভাষায় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে নৌকা নিয়ে যিনি নির্বাচন করবেন তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় পাঠাতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণে বৃহত্তর সিলেট তথা সুনামগঞ্জের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। আগামী নির্বাচনের পরপরই সুনামগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজে হাত দেওয়া হবে। সুনামগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগুজে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এখন অপেক্ষা বাস্তবায়নের। মন্ত্রী এমএ মান্নানের ওই ঘোষণার পরপরই পুরো ইফতার সমাবেশে নেমে আসে আনন্দের বন্যা।

ইফতার শুরু হয়। মন্ত্রী এমএ মান্নান সকলের সাথে একই মেন্যুর খাবার দিয়ে ইফতার করেন। ইফতার শেষে তিনি শান্তিগঞ্জ বাজারের পাশেই অবস্থিত গ্রামের বাড়িতে যান। ডুঙ্গরিয়া অবস্থিত ওই বাড়িটির নামও হিজল এবং একই আকৃতির। এই বাড়ির বৈঠক খানায় বসে সাধারণ মানুষের ন্যায় তিনি দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সাথে আলোচনায় মেতে উঠেন।