রোনালদোর প্রেরণা ‘ইউরো’

অনলাইন ডেস্ক

২০১৬ সালে ইউরো খেলতে ফ্রান্সে রওনার আগেও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোরা। দেখা করলেন এবার রাশিয়ার বিমান ধরার আগেও। সেবার শিরোপার স্বপ্ন দেখাননি। কিন্তু প্যারিস থেকে লিসবনে ফিরেছিলেন ইউরোর চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এবারও বড় কোনো স্বপ্ন দেখাতে চাইলেন না। তবে কি সাফল্যের পুনরাবৃত্তি এবারও হবে? মস্কো থেকে রোনালদো ফিরতে পারবেন বিশ্বজয়ের ট্রফি হাতে?

এক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আছেন বলেই আসলে পর্তুগালকে নিয়ে যত আলোচনা। ক্লাব ফুটবলের সফল কোচ হোসে মরিনহোর মতে, কেবল রোনালদোর কারণেই পর্তুগালও শিরোপার ফেভারিট। তবে প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুজার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অতটা আশাবাদ দেখালেন না রোনালদো।

ইউরোর মতো যে কোনো কিছুই ঘটা সম্ভব বলে বিশ্বাস করলেও রিয়াল মাদ্রিদ তারকা হাঁটতে চাইলেন বাস্তবতার মাটিতে, ‘আমি যেটার গ্যারান্টি দিতে পারি সেটা হচ্ছে খেলায়াড় ও টেকনিক্যাল টিমের বিপুল আকাঙ্ক্ষার। আমাদের বড় কিছুর তাড়না অনুভব করি। তবে সবারই জানা, বিশ্বকাপে আমরা ফেভারিট নই। আমাদের বাস্তবতা মানতে হবে। যদিও ফুটবলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়।’

১৯৬৬ সালে ইউসেবিওর দল আর ২০০৬ সালে লুইস ফিগোর দল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছিল। পূর্বসূরিদের সাফল্য ছোঁয়ার জন্য ৩৩ বছর বয়সী রোনালদোর এটিই সম্ভবত শেষ সুযোগ। বাছাইপর্বে ১৫ গোল করে দলকে তুলে এনেছেন বিশ্বকাপ মঞ্চে। রাশিয়া মিশনের শুরুতেই ১৫ জুন প্রতিপক্ষ ২০১০-এর চ্যাম্পিয়ন স্পেন।

রোনালদোর লক্ষ্য আপাতত ম্যাচ ধরে ধরে খেলা, ‘আমার মনে হয় ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলাই সবচেয়ে ভালো। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ খুবই কঠিন। তবে আমাদের খেলোয়াড়দের বড় করে ভাবতে হবে। সবাই আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলব বলে আমি আত্মবিশ্বাসী।’ ক্লাব ফুটবলে রিয়াল মাদ্রিদের টানা তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতা রোনালদো বিশ্বকাপের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে নিচ্ছেন দুই বছর আগের ইউরোকেই। ফেভারিট না হওয়ার পরও ফাইনালে ফ্রান্সকে ১-০-তে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল পর্তুগাল। এমনকি সেদিনের ম্যাচে শুরুর দিকেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল রোনালদোকে।

তার পরও সতীর্থরা হতোদ্যম না হলে নতুন উদ্যমে খেলে গেছেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, ইউরোর মতো এবারও আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে যাব। ফুটবলে যা কিছু সম্ভব- তার আশা সব সময়ই মনের মধ্যে রাখব।’ বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া খেলোয়াড়দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করায় প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান রোনালদো, ‘দেখা যাক, ধাপে ধাপে কী হয়। পর্তুগালের জার্সিতে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। প্রেসিডেন্টকে এ জন্য ধন্যবাদ জানাই।’ ‘বি’ গ্রুপে স্পেন ছাড়া পর্তুগালের অন্য দুই সঙ্গী মরক্কো ও ইরান।