বন্দুকধারীর হামলা রুখে দিলেন সাহসী নারী

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :

ব্রাজিলে একটি স্কুলে বন্দুকধারী হামলাকারীকে রুখে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন এক মা। ওই বন্দুকধারী গুলি করার উদ্দেশ্যে বন্দুক তাক করে সামনের দিকে এগিয়ে আসলে তাকে দ্রুত পাল্টা গুলি করেন কাতিয়া ডি সিলভা সাস্ত্রী নামের ওই নারী। তিনি একজন পুলিশ অফিসার তবে সে সময় তিনি তার সন্তানকে নিতে স্কুলে এসেছিলেন।

কাতিয়ার সাহসী পদক্ষেপের কারণে একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে বলে মনে করছে দেশটির প্রশাসন। আর হাসপাতালে নেয়ার পর ২১ বছর বয়সি এলিভাল্টন নেভেস মোরিরা নামের ওই বন্দুকধারীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সাওপাওলোর সুজানো এলাকার একটি স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। বিশ্ব মা দিবসে সাহসী কাজ করে প্রশংসিত হচ্ছেন কাতিয়া ডি সিলভা। খবর ডেইলি মিরর ও দ্যা সানের।

স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, এক যুবক দ্রুত পায়ে হেটে এসে বন্দুক তাক করে। এরপর স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন নারী দ্রুত পালাতে চান। সেসময় তাদের সঙ্গে শিশুরাও ছিলো। এসময় বন্দুকধারীর বুকে ও পাঁয়ে খুব দ্রুত গুলি করেন কাতিয়া ডি সিলভা। তারপরই বন্দুকধারী রাস্তায় পড়ে যায় এবং সে ডট-আটত্রিশ পিস্তল ফেলে বুকে হাত দিয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। পরে পিস্তল দূরে ঠেলে দিয়ে বন্দুকধারীকে পরাস্ত করেন কাতিয়া ডি সিলভা।

দুই বাচ্চার মা এবং পুলিশ অফিসার কাতিয়া ডি সিলভা জানান, সাত বছরের কন্যাকে স্কুল থেকে নিতে এসেছিলেন।

`আমি জানি না সে কাকে গুলি করতো। স্কুলের বাচ্চা, দাঁড়িয়ে থাকা মায়েদের বা স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীদের যে কাউকে সে গুলি করতে পারতো। আমি শুধু তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবেছি। আমি শুধু চেয়েছি বন্দুকধারীর হাতে কারো ক্ষতি হওয়ার আগেই তাকে থামাতে।’

কাতিয়ার সাহসীকতার প্রশংসা করেছেন সাওপাওলোর গভর্নর মারিকো ফ্রান্সা। তিনি বলেন, বন্দুকধারী মারা গেছে এটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হলো একটি ভয়ানক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।