মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুকির দায়িত্ব নেওয়ায় প্রবাসী সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজানের অভিনন্দন

প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি মানুষের খবর নিতে সব সময় তিনি কোননা কোনভাবেই চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন। দেশের মানুষকে শান্তিতে বসবাস করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তিনি। তার নজরে সমাজের যেকোনো অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা অসঙ্গতির বিষয় পরে তখন তিনি নিজেই উদ্যোগী হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অথবা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব ভার প্রদান করেন সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। উদাহরণ সংবাদপত্র বিক্রেতা খুকির বিষয়টি যখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নজরে পরে তখন তিনি গুরুত্বের সাথে খুকির সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছেন। এছাড়া আমাদের সমাজে অনেক গুনী ও অমানবিক ব্যক্তিরা আছেন তারই দৃষ্ঠান্ত হলো, প্রবাসী সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান তার অসংখ্য পরিচয় রয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক চারিটি সংস্থা জাস্ট হেল্প ফাউন্ডেশন টক এর ফাউন্ডার চেয়ারম্যান, বাংলাদেশের জাতীয় দলের সাবেক হকি খেলোয়াড় এবং সাংবাদিক হিসেবে তার পরিচিতি সমগ্র দেশে বিদেশে রয়েছে। বাংলাদেশে এখনো অনেক গুণী এবং মানবিক ব্যক্তিরা আছেন যারা দেশকে ভালবাসেন দেশের সাধারণ মানুষকে ভালোবাসেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্রান্তিকালে যারা নিঃশর্তভাবে দেশের কল্যাণে এগিয়ে আসেন তাদেরই অন্যতম একজন মিজানুর রহমান মিজান। তিনি শুধু ইংল্যান্ডে বসবাস করলেও দেশের প্রতি তার ভালোবাসা কোনো অংশে কম নয়।

তিনি রাজশাহীর অসহায় পত্রিকা বিক্রেতা খুকির বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ করেন। কারো না কারো প্রচারণার ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আসে। আজ সেই খুকি অন্ধকার থেকে আলোর পথে। তার একমাত্র প্রচেষ্ঠা জননেত্রী শেখ হাসিনার। সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান এ সমস্ত মানবিক কাজের জন্য প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্যা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

উল্লেখ্য, রাজশাহী শহরের একমাত্র নারী পত্রিকা বিক্রেতা খুকি। তিনি দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাকে নিয়ে ২০০৯ সালে করা একটি ভিডিও কয়েক দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এতে দেখানো হয়েছে- প্রতিদিন ভোর ৬ টায় ঘুম থেকে উঠে খুকি এজেন্ট ও স্থানীয় পত্রিকার সার্কুলেশন অফিস থেকে পত্রিকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন শহরে। রাজশাহী শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ৪০ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করেন দিল আফরোজ খুকি। ওই ভিডিওতে খুকির জীবনের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরা হয়। ভাইরাল ওই ভিডিও দেখে অনেকেরই মন বিমর্ষ হয়ে ওঠে। অনেকেই তার পুরোনো সেই ভিডিওটি আবারও শেয়ার দিয়ে খুকির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। জীবন যুদ্ধে হার না মানা খুকি সংবাদপত্র বিক্রি করলেও কারও কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতেননি। হেঁটে পত্রিকা বিক্রি করে নিজের খরচ যুগিয়ে চলেছেন। খুকি যখন কিশোরী। তখন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। মাস না ঘুরতেই স্বামী মারা যান। ১৯৮০ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবার ও স্বজনরাও তাকে বাড়ি ছাড়া করেন। ভাইদের আপত্তির কারণে বাবার বাড়িতে তার স্থান হয়নি। এরপর থেকেই অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন অসহায় নারী পত্রিকা বিক্রেতা খুকি। পরে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে বাড়ি তৈরি করে একাই থাকেন।