জাল সার্টিফিকেট দিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রার্থী আল আমিন!

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের তোড়জোড় করছে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। আর এ কারনেই যাদের সার্টিফিকেট নেই তারা জাল সার্টিফিকেট তৈরি করে জমা দিচ্ছেন জেলা নেতৃবৃন্দের হাতে।

জানা যায়, এসএসসি পাশ থাকতে হবে এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছে সুনমাগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। সে হিসাবে যারা এসএসসি পাশ করেনি তারা এবার ছাত্রদলের কমিটিতে আসতে পারবে না। নিয়মিত ছাত্র, অবিবাহিত ও এসএসসি পাশ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হবে। এরই কারনে অনেকে বাদ পড়ে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে জাতিয়াতির।

এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক প্রার্থী মোঃ আল আমিনের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০০৮ সালে দাখিল পাশ করছে এমন একটি জাল সার্টিফিকেট সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কাছে জমা দিয়ে আহ্বায়ক হওয়ার জন্য তদবির করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের যে তথ্য (রোল: ২৬২৪৩৯, রেজি: ৪৫৫০২৬ শিক্ষাবর্ষ-২০০৬) তাও সঠিক নয়। তিনি আরেক জনের তথ্য দিয়ে আহ্বায়ক পদ হাসিলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

একটি সূত্র জানায়, আল আমিন সুনামগঞ্জ জেলার রানীগঞ্জ বাগময়না গ্রামের সমসু মিয়ার ছেলে। তিনি বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীরের ছাত্র ছায়ায় থাকার কারনে আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্য হিসেবে তার স্থান হয়। পরে উক্ত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে নানা বিতর্কের জন্ম দেয়। উক্ত কমিটিতে অছাত্র ও বিবাহিতদের পদ দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন অভিযোগ উঠে স্থানীয় নেতাকর্মীদের। পরে কেন্দ্র থেকে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীরকে বিবাহিত ও অছাত্রদের কাট ছাট করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেন। পরে ছাত্রদলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আত্মীয়তার কারনে ও তার বলয়ের কর্মী হওয়ায় আল আমিন সহ অনেক অছাত্রকে রেখে ৫৫ জনের একটি তালিকা তৈরি করে আবারো কেন্দ্রের কাছে পাঠান।

নাম প্রকাশে অনুচ্ছিুক এক কর্মী জানান, দাখিল পাশ না করেও একটি ভূয়া সার্কিফিকেট প্রদান করে কার খুটির জোরে কিভাবে সে আহ্বায়ক প্রার্থী হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শের ও বাংলাদের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্রদলের একটি সুনাম রয়েছে। কেন্দ্রের নির্দেশনানুয়ী ছাত্রদলের কমিটিতে থাকলে হলে অবশ্যই ছাত্রত্ব থাকতে হবে। ছাত্রত্ব ছাড়া কোন কাউকে ছাত্রদলের অন্তর্র্ভূক্ত করা যাবে না এটা দলের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি।

জানা যায়, আল আমিনকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে জগন্নাথপুর উপজেলা ছাত্রদলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঝে। তার মেঝো ভাই মো. সাহাঙ্গীর আলম যুবদলের সাংগঠনিক হিসেবে থাকার কারনে ক্ষমতা দাপটে তাকে আহ্বায়ক পদ হাসিল করে দিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

এ ব্যাপারে আল আমিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে সে নিজেকে ২০০৮ সালের দাখিল শিক্ষার্থী দাবি করলেও কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পাশ করছে তা জানাতে ব্যর্থ হয়।