মায়ের কোলে মাটির টানেঃ মাকে নিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক

আব্দুল আহাদঃ

দীর্ঘ 2 বছর 4 মাসপর মা ও মামির সাথে বাড়ী তে সাক্ষাৎ ।একদিকে অফুরন্ত আনন্দ আরেকদিকে অজানা ভয়। আল্লাহ র নিকট হাজার কোটি শুকুরিয়া, মা ও মামি এখনো সুস্থ অবস্থায় আমাদের মাঝে আছেন। বহুদিন পর কাছে পেয়ে মায়ের প্রথম জিজ্ঞাসা “তোর পা ভাল হয়েছে?” এ প্রশ্নের উত্তর দিতে যেতে যেয়ে আমার চোখ ভিজে যায়। ফিরে যাই স্কুল জীবনে যখন মা ভোর বেলা হারিকেন জ্বালিয়ে ঘুম ভাংগিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিতেন আর বলতেন শেষ রাতের পড়া মনে থাকে বেশী ।আচ্ছা, মা জীবনে পড়াশুনা র সুযোগ পাননি তবে এ থিওরি কিভাবে আবিস্কার করেছিলেন? আজও এ প্রশ্নের জবাব পাই নি কিন্ত তিনি ঠিককই
ঠিকই প্রমাণ করেছেন তার গর্ভজাত আট ছেলেমেয়ে দের পড়াশুনো শিখিয়ে। তিনি নিজে পাঁচ টাকা আর পাঁচশত টাকা না আলাদা করতে পারলেও আল্লাহ তার গর্ভজাত সন্তান কে টাকশালে টাকা বানানোর যোগ্যতা দিয়েছেন ।আজ আবারো জানলাম পৃথিবী তে মায়ের চেয়ে আপন কিছুই নাই।সকল মায়েরাই চিরন্তন ও প্রাত:স্মরনীয়।পৃথিবীর সকল মায়ের জন্য মহান আল্লার নিকট প্রার্থনা করছি ।আল্লাহ যেন তাদেরকে সুস্থ রাখেন আর যেসব মায়েরা চলেগিয়েছেন তাদের জন্য শান্তি কামনা করছি ।আমিন।৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷  ফেইসবুক আইডি থেকে সংগ্রহীত