গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসে আমেরিকা প্রবাসী কারাগারে

 

ডেস্ক রিপোর্ট:

সিলেটের গোলাপগঞ্জে দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসে ফেঁসে গেছেন একজন আমেরিকা প্রবাসী। পুলিশ ওই আমেরিকা প্রবাসী ছাঈদুর রহমানকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জ পৌর শহরের একটি পার্টি সেন্টারে বিয়ে করতে এসে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের হাতে আটক হন ছাঈদদুর। আটককৃত ছাইদুর রহমান সিলেটের জালালাবাদ থানার হাওসা গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র।

২০১৯ সালের ২৫ জানুয়ারি ছাইদুর রহমান সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার লাউতলা গ্রামের কাচা মিয়ার কন্যা শাহিনা আক্তার রুমিকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ছাইদুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে সম্পর্কের অবনতি হয়। এরপর ছাইদুর রহমান প্রথম স্ত্রী শাহিনার অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ের জন্য গোলাপগঞ্জের এক মসজিদের ইমামের কন্যাকে পছন্দ করেন। এক পর্যায়ে ছাঈদুর রহমান বিদেশে থেকে টেলিফোনের মাধ্যমে তাদের আকদ সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়টি জানতে পেরে প্রথম স্ত্রী শাহিনা আক্তার রুমি সিলেট অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

ছাইদুর রহমান বিয়ের জন্য গত শুক্রবার দেশে আসেন। দেশে এসে তিনি গোলাপগঞ্জ ডাকবাংলা এলাকায় একটি রেডি ফ্লাট ভাড়া নেনে। উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা ক্রমে সিদ্ধান্ত হয় রোববার সন্ধ্যায় গোলাপগঞ্জের একটি পার্টি সেন্টারে ছাইদুর রহমান নতুন স্ত্রীকে বরণ করবেন। বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করে প্রায় ৩শ মানুষের খাবারের আয়োজন করা হয়। রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে ছাইদুর রহমান বরের পোশাক পরে বিয়ের আসরে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিলে সেখানে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ হাজির হয়। পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ছাইদুর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসার পূর্বে ছাইদুর রহমান আমার কাছে দাবি করেন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গরা তার গাড়ি আটক করে তাকে মারধর করে সব টাকা পয়সা নিয়ে গেছে। বিয়ে করতে হলে যে টাকার প্রয়োজন সে টাকা তার কাছে নেই। তাকে ৫ লাখ টাকা ঋণ দিলে সে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে তা পরিশোধ করবে। নতুন জামাতার কথায় বিশ্বাস করে গোলাপগঞ্জের হবু শ্বশুড় শুক্রবার ৩ লাখ টাকার ব্যবস্থা করে দেন।

এ ব্যাপারে ছাইদুর রহমানের প্রথম স্ত্রী শাহিনা আক্তার রুমির বাবা কাচা মিয়া জানান, অনেক আশা করে আমার মেয়েকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ছাইদুর রহমানের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। সে আমার মেয়েকে বিয়ে করার পর নানা ভাবে তালবাহানা করে নগদ প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়েছে।

এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।