সিলেটে যে কারণে খুন হয়েছেন ছাত্রলীগ কর্মী দ্বীপ

 

ডেস্ক রিপোর্ট:

সিলেট নগরীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত অভিষেক দে দ্বীপ নগরীর গ্রিন হিল স্টেট কলেজের ছাত্র। বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর টিলাগর এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পুলিশ গ্রেফতার করেছে এক তরুণকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সদ্য শেষ হওয়া সরস্বতী পূজায় কথা কাটাকাটির জের ধরে প্রাণ দিতে হয় দ্বীপকে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সৈকত রায় সমুদ্র (২২) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চি করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে বিবাদে জড়িয়ে ছাত্রলীগ কর্মী সৈকত রায় সমুদ্রের নেতৃত্বে একদল যুবকের হামলায় অভিষেক দে দ্বীপ নিহত হন। হামলায় নেতৃত্বদানকারী সৈকত রায় সমুদ্র সিলেট সরকারি কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী। এছাড়া নিহত দ্বীপ ও অভিযুক্ত সমুদ্র দুজনই আওয়ামী লীগ নেতা রণজিৎ সরকার গ্রুপের অনুসারী বলেও জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দ্বীপকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় হামলাকারীরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্বীপকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে শুক্রবার সকালে ওসি আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ‘আটককৃত ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় সরস্বতী পূজায় তাদের মধ্যে কথা কাটিকাটি হয়। এমন বিরোধের জের ধরেই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে টিলাগড়ে দ্বীপকে ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায় তারা। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্বীপকে মৃত ঘোষণা করেন।’ ‘বর্তমানে দ্বীপের মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে’ বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

এছাড়া এ ঘটনায় মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সম্ভবত মরদেহের সৎকারের পরেই তারা মামলাটি করবেন।’