কুলাউড়ায় পৃথক ধর্ষণের ঘটনায় আটক ৩

কুলাউড়া প্রতিনিধি : ১ দিনের ব্যবধানে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় তিনটি পৃথক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
এসব ঘটনায় থানায় পৃথক পৃথক মামলা রেকর্ড করার পাশাপাশি ধর্ষণে জড়িত ৩জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ফুফা কর্তৃক ভাগ্নিসহ পৃথক তিনটি ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
আটককৃতরা হলো, কর্মধা ইউনিয়নের ছমির আলী (৪৫), জয়চন্ডী ইউনিয়নের রাছেল মিয়া (২০) ও ভন্ড করিরাজ প্রতারক মানিক মিয়া (২৮)।
কুলাউড়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুলাউড়ার স্থানীয় একটি চা বাগানের বাসিন্দা ১৭ বছরের এক তরুনী সোমবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে পুকুর পাড়ে পান সংগ্রহে গেলে রাছেল জোড়পূর্বক পাশের জঙ্গল নিয়ে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তরুনীকে গাজীপুর এলাকায় নিয়ে একটি বাড়িতে রাখতে চাইলে সর্বত্র জানাজানি হয়। পরে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে ওই তরুনীকে উদ্ধার করে। এঘটনায় তরুনী নিজে বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা ( মামলা নং-২৮, ১৬/০৪/১৮) দায়ের করে। ধর্ষক রাছেলকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং ভিকটিমের মেডিকেল চেকআপের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে আপন ফুফা কর্তৃক ভাগ্নীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছমির আলী (৪৫)-কে আটক করেছে পুলিশ। ফুফার এমন ন্যাক্কারজনক কাজে ওই ভাগ্নী বর্তমানে অন্তঃসত্তা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সানাউল্লাহ জানান, একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে ১৯ বছর বয়সী ওই ভিকটিমের বাবা পালাতক রয়েছে। এজন্য ফুফার বাড়িত সে থাকতো মেয়েটি। বাড়িতে থাকাবস্থায় বাবা শূন্যতা পূরণ করতে গিয়ে নানা সময় ভাগ্নীর আবদার মেটাতেন ফুফা। এরই সুবাদে দুই দিন ফুফা ছমির আলী ভাগ্নী (১৯)-কে ধর্ষণ করেছেন এমন অভিযোগ করেছে ভিকটিম। ধর্ষণের পরে ভাগ্নীকে আপন ভাতিজার কাছে বিয়ে দেন ফুফা। বিয়ের পর ভাগ্নী শারীরিক পরিবর্তন দেখা দিলে স্বামী ডাক্তার দেখাতে নিয়ে গেলে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়ে বিয়ের চেয়ে অনাগত বাচ্চার বয়স বেশি। এসময় স্বামীর চাপের মূখে ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ দিয়ে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন ভাগ্নী। পরে ফুফাকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে কবিরাজি করে চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধার করার নাম করে এক মহিলাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে কবিরাজ মানিক মিয়া (২৮)-কে আটক করেছে পুলিশ। আটক মানিক মিয়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়িনের পূর্ব ফটিককুলী গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় সে একজন সিএনজি চালক। সে কবিরাজির নাম করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৭এপ্রিল) ভোরে উপজেলার মহিষমারা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
কুলাউড়া থানার এসআই শাহিন জানান, মহিষমারা গ্রামের একটি পরিবারের মোবাইল চুরি হয়। এসময় প্রতিবেশীর মাধ্যমে তারা জানতে পারেন একজন কবিরাজ চুরিকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে পারেন। পরে সোমবার (১৬এপ্রিল) রাত প্রায় ১১টার দিকে তাদের বাড়িতে গিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পেয়েছি।