পাকিস্তানে ভাইয়ের হাতে ইন্টারনেট সেলিব্রেটি খুন, অতঃপর যাবজ্জীবন

 

অনলাইন ডেস্ক

পাকিস্তানের মুলতানে ইন্টারনেট সেলিব্রেটি বোনকে হত্যার দায়ে শুক্রবার ঘাতক ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিলো দেশটির আদালত। মুলতান সেশন কোর্টের বিচারপতি ইমরান শাফি এ রায় দিয়েছেন।

তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নিজের খোলামেলা ছবি ও ভিডিও আপলোড করে বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছিলেন ফৌজিয়া আজিম (২৬)। নেট দুনিয়ায় তার পরিচিতি ছড়িয়েছিল ‘কানদীল বেলুচ’ নামে। এসব কর্মকাণ্ডে পরিবারের সম্মানহানি ঘটছে ভেবে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তার ভাই মোহাম্মদ ওয়াসিম। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই নিজ ঘরে ভাই ওয়াসিমের হাতে খুন হন কানদীল বেলুচ।

শুক্রবার আদালতের এই রায়ের সময় হত্যা মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরাও উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন বেলুচের আরেকজন আপন ভাই আসলাম শাহীন, চাচাত ভাই হক নেওয়াজ ও আবদুল কাভি নামের একজন পরিচিত মৌলভি। সর্বমোট ৩৫ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয় এ মামলায়। সব সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে অবশেষে বেলুচের আপন ভাই মোহাম্মদ ওয়াসিমকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।

পাকিস্তানে ভাইয়ের হাতে ইন্টারনেট সেলিব্রেটি খুন, অতঃপর যাবজ্জীবন
ওয়াসিমও নিজের দায় স্বীকার করে নিয়েছেন। আত্মপক্ষ সমর্থন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সে(কানদীল বেলুচ) সামাজিক মাধ্যমে নিজের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রচার করে আমাদের পরিবারের সম্মানহানি করছিলো।’ ডিএনএ পরীক্ষা ও ফরেনসিক রিপোর্টেও সেলিব্রেটি বোনের হত্যাকান্ডে ওয়াসিমের জড়িত থাকার ব্যাপার প্রমাণিত হয়েছে।

গত মাসে বেলুচের মা-বাবা ছেলেকে ক্ষমা করে দিয়েছেন জানিয়ে ওয়াসিমের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করার আবেদন নিয়ে আদালতে আসেন। পরে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে দেয়। অবশেষে শুক্রবার হত্যাকারীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়।

প্রতিবছর পাকিস্তানে এক হাজারেরও বেশি নারী ‘অনার কিলিং’ এর নামে নিজ পরিবারেরই পুরুষদের হাতে খুন হন।