শরিফ বদমাশ-নিজাম ডাকাতের স্মাগলিং জোন কানাইঘাটের সুরইঘাট

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সুরইঘাট সীমান্ত এলাকা চোরাকারবারিদের জন্য নিরাপদ জোনে পরিণ হয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিনই বিপুল পরিমাণ চোরাই পণ্য অবৈধভাবে আমদানী রপ্তানী করে চোরকারবারিরা। এই অঞ্চলের ওই চোরাকারবারিদের প্রকাশ্যে গডফাদার শরিফ বদমাশ ও নিজাম ডাকাত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুরইঘাট সীমান্ত অত্যন্ত দুর্গম এলাকা। এই এলাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে থাকে কম। কারণ এই এলাকা দিয়ে বড় ধরনের চোরাকারবারি হয়, তা অনেকটা অবিশ্বাস্য। এই সুযোগকে পূজি করে চোরাকারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝে মধ্যে মূল সড়কে ২-১ টি চালান ধরা পড়ে। এতে মামলাও হয়। একাধিক মামলার আসামি হিসেবে কয়েকবার কারাগারেও গেছেন শরিফ বদমাশ ও নিজাম ডাকাত।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই সুরইঘাট সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার হয় স্বর্ণ, মটর, জুস জাতীয় বিভিন্ন পণ্য। ভারত থেকে অবৈধ পথে আমদানী করা হয়, ইয়াবা টেবলেট, ফেনসিডিল, পাতার বিড়ি, সুপাড়ি, গরু প্রভৃতি।

সীমান্তের ৫ কিলোমিটার এলাকাজুরে চোরাকারবারিরা গড়ে তুলেছে বিশাল নেটওয়ার্ক। ভারতীয় পণ্য সুরইঘাট এলাকায় পৌঁছার পর তা মূল সড়কে আনা হয়ে একটি হাওর ও কয়েকটি গ্রাম ডিঙিয়ে। পরে কানাইঘাট-দরবস্ত সড়কের লখাই গ্রাম ও হকারাই গ্রামের ২টি বাড়িতে মজুত করা হয়। সুযোগমতো তা পাচার করা হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে।

স্থানীয়রা জানান, সুরইঘাট সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারির ডাকাত হিসেবে পরিচিতি নিজাম ডাকাত, শরিফ বদমাশ তাদের অবৈধ ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে গড়ে তুলেছেন বিশাল একটি বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪০-৫০ জন। গত ঈদুল আজহার সময় ওই বাহিনী ভারত থেকে শতশত গরু আমদানী করেছে অবৈধ পথে। বর্তমানে শরিফ বদমাশ-নিজাম ডাকাতের নেতৃত্বে প্রতিদিনই চালান আসছে ভারত থেকে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ভারত থেকে যেসব পণ্য আনা হয় তার অনেকটাই চেনা। কিন্তু ওইসব পণ্যের সাথে কিছু কার্টন আসে, যা থাকে বিশেষভাবে মোড়ানো ও সুরক্ষিত। ওইসব কার্টনে কাউকে হাত দিতে দেওয়া হয় না। শরিফ ও নিজাম নিজ দায়িত্বে ওইসব কার্টন গাড়িতে করে অজানা স্থানে পৌঁছে দেয়। এসব কার্টন নিয়ে ওই বাহিনীর সদস্যদের মাঝেও রহস্য জন্ম দিয়েছে।