বড়লেখায় বসতঘরে জুয়ার আসর, দুজনের কারাদণ্ড

 

সংবাদদাতা, বড়লেখা:

প্রত্যন্ত গ্রামের একটি মাটির বসতঘর। ঘরটিতে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন লব দাস। বাইরে থেকে দেখে বুঝার উপায় নেই যে, এটা জুয়া খেলার ঘর। সেখানে ঘরোয়া পরিবেশে নিয়মিত বসত জুয়ার আসর। আশপাশের জুয়াড়িরা সেখানে ভীড় করেন নিত্যদিন। নানা বয়সের মানুষ জুয়ার আসরে গিয়ে নি:স্ব হচ্ছিলেন।

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের বড়ময়দান গ্রামে লব দাসের ওই বসতঘরে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল জুয়ার আসর। গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এই জুয়ার আসরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আকস্মিক অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় বাড়ির মালিকসহ অন্যরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েছেন দুজন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত তাদের ১৫ দিনের সাজা দেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম মো. শামীম আল ইমরান।

ভ্রাম্যমান আদালত ও স্থানীয় সূত্র জানায়, তালিমপুর ইউপির বড়ময়দান এলাকায় লব দাসের বাড়িতে প্রতিদিন জুয়ার আসর বসানো হচ্ছিল। বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন এসে এই জুয়ার আসরে যোগ দিতেন। অনেকে জুয়ার নেশায় পড়ে নি:স্ব হয়েছেন। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে অনেকে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এতে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছিল। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে বড়লেখা থানা পুলিশের সহায়তায় সেখানে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ঘরের মালিক লব দাসসহ কয়েকজন পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে জুয়া খেলায় ব্যবহৃত তাস এবং নগদ পাঁচশত টাকাসহ দুইজনকে আটক করা হয়।

এরা হচ্ছেন- তালিমপুর ইউনিয়নের বড়ময়দান গ্রামের চুনু মিয়ার ছেলে মো. নূর উদ্দিন (৬৫) ও দাসেরবাজার ইউনিয়নের ধর্মদেহী গ্রামের দিরেন্দ্র দাসের ছেলের দিপু দাস (৩৫)। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তাদের প্রকাশ্যে জুয়া আইনের ১৮৬৭ অনুসারে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম মো. শামীম আল ইমরান।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিনুল হক মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বলেন, ‘ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’