মেয়র আরিফ কী রাষ্ট্রীয় সংবিধান অবজ্ঞাকারী নয়?

 

মুজিবুর রহমান ডালিম:

সাপ্তাহিক বাংলার বারুদ পত্রিকার ১৮৮ নং সংখ্যায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে একটি রিপোর্টের শিরোনাম হচ্ছে ‘মেয়র আরিফের হালহকিকত, নানার মৃত্যু বার্ষিকী ফাঁকি দিলেন ১৫ আগস্ট।‘ পরে ওই রিপোর্টটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলবাংলা২৪ডমকম এ ছাপা হয়।

রিপোর্টে মেয়র আরিফকে মূলত রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে অবজ্ঞাকারী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। সরকারি যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করে রাষ্ট্রীয় সংবিধানকে অবজ্ঞা করতে তিনি নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন। যে ছলচাতুরির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে মেয়র আরিফের ভন্ডামি ও অভিনয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির জনক শেখ মুজিবের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসররা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে। এই দিনটিকে আমরা জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করি।

জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশে পালিত একটি জাতীয় দিবস। প্রতিবছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এ দিবসটে শোকের সাথে পালন করা হয়। এ দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখতে এ দিবসের উৎপত্তি।

১৫ আগস্ট এই দিবস পালন করা হয় যথাযথ মর্যাদার সাথে। রাষ্ট্রীয়ভাবেও দিবসটি পালনের নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

বাংলার বারুদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ১৫ আগস্টের শোক দিবসকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়র আরিফ নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়েছেন। যা অত্যন্ত দু:খজনক বিষয়। অনুসন্ধানী ওই রিপোর্টের আলোকে বলা যায় মেয়র আরিফ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেও হয়তো মেনে নিতে পারছেন না। যার জন্য ওই অভিনয়ের আশ্রয় নিয়েছিলেন মেয়র আরিফ।

মেয়র আরিফ হলেন বিএনপি নেতা। আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি। তার পক্ষে অনেক কিছুই সম্ভব। যা তিনি দেখিয়ে আসছেন। তিনি আর কত ছলচাতুরি দেখাবেন। দেশ ও জাতির স্বার্থে তাকে ছলচাতুরির আশ্রয় নেওয়া থেকে বিরত হতে হবে। কারণ তিনি একজন মেয়র। রাষ্ট্রের প্রচলিত নিয়ম কানন মেনে চলবেন এটা আমাদের প্রত্যাশা।