কুলাউড়ায় কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা, মা মেয়ে গ্রেফতার

 

সংবাদদাতা, কুলাউড়া

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সুলেমান (১৩) নামক এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ২ নারীসহ একই পরিবারের ৩ জনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় নিহত কিশোরের বড় ভাই আজ রবিবার ৫ জনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুলাউড়া থানা পুলিশ আনু মিয়া (৪৫), তার স্ত্রী পিয়ারা বেগম (৪০) ও মেয়ে আসলিমা বেগম (১৮) কে আটক করেছে।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের পুর্ব ফটিগুলি গ্রামের মৃত বাজিদ আলীর পুত্র কিশোর সুলেমান গত ৬ সেপ্টেম্বর সকালে নিজ বাড়ির উত্তর পাশে একটা বটগাছের নিচে বসা ছিল। এ সময় মূল আসামি রেদোয়ান মিয়ার নিকটাত্মীয় মন্টু মিয়াকে দিয়ে একই গ্রামের আনু মিয়ার বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয় সুলেমানকে। বাড়িতে যাওয়ার পর আনু মিয়ার ছেলে রেদোয়ান মিয়ার নেতৃত্বে সুলেমানকে তাদের ঘরের ভেতরে রশি দিয়ে হাত বেঁধে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে রক্তাক্ত করা হয়।

এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও নিহতের স্বজনরা এগিয়ে এলে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এ সময় আসামিরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মাসুক মিয়াসহ আরো লোকজন এসে সুলেমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পরদিন শনিবার রাত ৯ টায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলেমানের মৃত্যু হয়।

কর্মধা ইউনিয়নের মেম্বার মো. মাসুক মিয়া জানান, পুর্ব শত্রুতা থাকতে পারে। আমি ছেলেকে উদ্ধার করে দ্রুত মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করি। এরপর সেখান থেকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তবে কর্মধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক বলেন, কিশোর সুলেমানের সাথে আনু মিয়ার মেয়ে আসলিমার দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ছেলে তাদের বাড়ি যাওয়া আসা করতো। এক পর্যায়ে তাকে মারধর করা হয়।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তার করতে চেষ্টা চলছে।