শফিক ভাইয়ের মুখ থেকে আর শুনব না ‘রহিম সাব’

 

এমএ রহিম, অতিথি প্রতিবেদক:

অহংকারমুক্ত ছিলেন আ ন ম শফিকুল হক ভাই। ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি। আন্দোলন সংগ্রামে রাস্তায় দেখা হলেই জিজ্ঞেস করতেন ‘কেমন আছেন রহিম সাব।’ রিপোর্টিংয়ের প্রয়োজনে ফোন করলে ফোন রিসিভ করেই জিজ্ঞেস করতেন কেমন আছেন রহিম সাব। ফোন রিসিভের ধরন দেখে বুঝা যেত অতি আপনজন হিসেবে তিনি আমার নম্বর ফোন বুকে রেখেছেন। শফিক ভাইয়ের মুখ থেকে আর কোনো দিন শুনব না ওই বাক্য ‘রহিম সাব কেমন আছেন।’ তিনি আজ ১৪ আগস্ট বুধবার বিকেল তিনটায় আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সৃষ্টিকর্তার কাছে আকুল প্রার্থনা করছি আমার শফিক ভাই যেন ভাল থাকেন। ভাল রাখেন সৃষ্টি কর্তা।

শফিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে উনি যখন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। জেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক বক্তব্য নিতে ফোন করতাম শফিক ভাইয়ের কাছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে দেখা হয়ে যেত। প্রায় সময় কোর্টপয়েন্ট, রেজিস্টারি মাঠ এলাকায় শফিক ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাত ঘটতো। অনেক সময় পেছন থেকে ডাকতেন রহিম সাব বলে। যে ডাকে থাকত আন্তরিকতা। হাঁটতে হাঁটতে অনেক কথা হতো শফিক ভাইয়ের সঙ্গে। মাঝে মধ্যে রিপোর্টিং নিয়েও কথা বলতেন। সাহসি রিপোর্টের জন্য প্রশংসা করতেন। পরামর্শ দিতেন। ভাল লাগত শফিক ভাইয়ের আনুকূল্য।

শফিক ভাইয়ের জটিল রোগ ধরা পড়ার পর তিনি ভারতে গিয়ে প্রথম ধাপে চিকিতসা করালেন। ভারত থেকে ফেরার পর শফিক ভাইয়ের ডাকে তাঁর সুবিদবাজারস্থ বাসায় গিয়েছিলাম আ.ফ.ম. সাঈদ ভাইয়ের সাথে। বাসায় আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করলেন। আপ্যায়ন শেষে রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করলেন। ফিরে এসে শফিক ভাইকে নিয়ে রিপোর্ট সাজালেন সাঈদ ভাই। কথার ফাকে ফাকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা বললেন। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরলেন। সেত অনেক কথা।

দীর্ঘ রোগ ভোগের পর শফিক ভাই চিরতরে চলে গেলেন। আপনার শূণ্যতা পূরণ হবার নয়। নেপথ্যে এক শিক্ষা গুরুর অভাব অনুভবে থাকবে চিরকাল। ভাল থাকবেন শফিক ভাই।