কাদের অভিযানে নিহত হামজা বিন লাদেন?

 

ডেস্ক রিপোর্ট:

প্রয়াত আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের ছেলে হামজাকে হত্যার অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে। তবে কখন ও কোথায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, তা জানা সম্ভব হয়নি এখনো। ব্রিটেনের বিখ্যাত ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইলের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে।

বুধবার মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজের খবর বলছে, লাদেনের সম্ভাব্য উত্তরসূরি ৩০ বছর বয়সী হামজা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাতে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত দুই বছরের মধ্যে মার্চের আগে যেকোনো সময় হামজা নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু তার নিহত হওয়ার খবর সম্প্রতি সামনে চলে আসে।

সূত্র জানায়, একটি অভিযানে হামজা নিহত হন, যাতে যুক্তরাষ্ট্র ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সেই ভূমিকা কী ছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গত মার্চেও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় তার অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে ১০ লাখ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।

ওসামা বিন লাদেনের পাঁচ স্ত্রীর ঘরে ২৩ সন্তানের মধ্যে হামজা একজন। ১৯৮৯ সালে সৌদি আরবের জেদ্দায় জন্ম নেয়া হামজা তার মায়ের সঙ্গে ইরানে কয়েক বছর কাটিয়েছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির আগেই হামজা বিন লাদেন নিহত হয়েছেন। তার অবস্থান সম্পর্কে কখনোই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তিনি ইরানে গৃহবন্দি রয়েছেন বলেও খবর রটেছিল।

এছাড়া তিনি পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও সিরিয়ায় বসবাস করছেন বলেও খবরে বলা হয়েছে।

ব্রুকিংস্ ইনিস্টিটিউশনের তথ্যানুযায়ী, ২০০১ এর ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে হামলার আগে হামজা আফগানিস্তানে তার বাবার পাশেই ছিলেন।

হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে আক্রমণ চালানো হলে বিন লাদেনসহ আল কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে হামজাও পাকিস্তান চলে যান।

তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নেয়ার জন্য জঙ্গিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন হামজা। বিদ্রোহ করার জন্য আরব উপদ্বীপের বাসিন্দাদেরও ডাক দিয়েছিলেন তিনি। চলতি বছর মার্চে সৌদি আরব তার নাগরিকত্ব বাতিল করে।