ভালোবাসার বিয়ে : অপহরণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত তুষার দাসের জামিন

 

অনলাইন ডেস্ক:

অপহরণের মামলায় ১৪ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত তুষার দাসকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।

আদালত বলেন, যেখানে ধষর্ণের অভিযোগ প্রমানিত হয়নি সেখানে অপহরণের অভিযোগে সাজা হয় কিভাবে।

এর আগে তুষারের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন সুষ্মিতার মা পারুল দেবনাথ। কিন্তু নিম্ন আদালতে এই মামলার বিচার চলাকালে সুষ্মিতা জবানবন্দিতে বলেন, ‘স্বেচ্ছায় তিনি তুষারের সঙ্গে চলে গেছেন এবং ঢাকেশ্বরী মন্দিরে তারা বিয়ে করেন।’ আদালতে তুষারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মো. মুনির।

সুষ্মিতা বলেন, আমাদের একটাই অপরাধ আমরা ভালোবেসে বিয়ে করেছি। আইনের মারপ্যাচে আমাদের জীবন আজ বিপন্ন। স্বামীকে মুক্ত করতে ৮৮ দিন বয়সের শিশু সন্তান নিয়ে আমাকে আদালতের দ্বারে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সুষ্মিতা ও তুষার ভালোবেসে বিয়ে করেন প্রায় দুই বছর আগে। ইতিমধ্যে তাদের কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান। কিন্তু এখনো এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি সুষ্মিতার বাবা-মা। মেয়ে নাবালিকা এই অভিযোগে তার মা অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেন। এই মামলায় অপহরণের দায়ে তুষারকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ আ. ছালাম খান। কিন্তু ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তুষারকে খালাস দেওয়া হয়।

রায়ে বলা হয়, আসামি তুষার দাস ওরফে রাজ ভিকটিম সুষ্মিতা ওরফে অদিতিকে অপহরণ করে নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আসামি শিশু সুষ্মিতাকে বিয়ে করবেন এই আশ্বাস দিয়ে অপহরণ করেছেন। যা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হলো।

রায়ের পর গত ২৩ জুলাই তুষারকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তিনি আপিল করেন।