ছেলে ধরা গুজবের শেষ কোথায় ?

 

মুজিবুর রহমান ডালিম:

ছেলে ধরার গুজব মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। পদ্মাসেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে এই গুজবের ডালাপালা প্রতি ঘন্টায় ব্যাপক আকারে বিস্তার করছে। গুজবকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই অসংখ্য অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে। প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকেই। অনেকে আহত হয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন হাসপাতালে। আইনশৃংখলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ছেলে ধরা সন্দেহে কেউ যাতে প্রাণ না হারায়। ছেলে ধরা সন্দেহ হলে আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও থামছে না ঘটনা।

একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। এ ঘটনায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মানসিক রোগীরা। মানসিক রোগীর আচরণ থাকে এলোমেলো। এ ধরনের মানুষের আচরণকে ছেলে ধরা সন্দেহ করে দেওয়া হয় গণধোলাই। তারপর ওই মানসিক রোগির মৃতু্য হয় নিশ্চিত। কী ভয়াবহ কাণ্ড। ব্যবসায়ীরা বস্তায় করে মাছ নিয়ে যাওয়ার সময়ও রক্ষা পাচ্ছে না। বস্তায় মানুষের মাথা রয়েছে-এমন সন্দেহ করে গণধোলাই দেয়। ঘটে নির্মম ঘটনা।

আইনশৃংখলা বাহিনী বারবার ঘোষণা দিচ্ছে আইন নিজ হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য। গণধোলাইয়ে নিহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে। প্রতিটি মামলায় আসামি হয়েছেন ৫০০ থেকে ৮০০। যেসব এলাকায় মামলা হয়েছে সেসব এলাকা মানুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। তারপরও থামছে গুজবের ট্রাজেডি।

কেন এমনটি ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারকে ভেবে দেখে দরকার। এই গুজব সৃষ্টির নেপথ্যে কেউ কাজ করে থাকলে তাদেরকে আইনের আওয়তায় নেওয়া প্রয়োজন। গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অস্থিশিল পরিবেশ সৃষ্টি হোক তা কারো কাম্য নয়। তাই এখনই বিষয়টি কঠোর হস্তে দমন করা প্রয়োজন। অন্যথায় আরো প্রাণ ঝরে যাবে অকালে।