যে কারণে এরশাদকে ‘পেয়ারা’ বলে ডাকতেন ভাই-বোনেরা

 

অনলাইন ডেস্ক:

সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একটি ডাকনাম ছিল। ছোটবেলায় তাকে পেয়ারা নামে ডাকতেন বাবা-মা ও স্বজনরা।

রোববার এরশাদের মৃত্যুর পর বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরশাদের পারিবারিক আরেকটি নাম ছিল। তার বাবা-মা ও ভাইবোন বা কাছের আত্মীয়রা তাকে ‘পেয়ারা’ নামে ডাকতেন। এটি ছিল তার ডাকনাম।

এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, তাদের চার ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন মেজ। সবার বড় বোনের নাম ছিল পেয়ারী এবং সেই নামের সঙ্গে মিলিয়ে এরশাদকে পেয়ারা নামে ডাকা হতো। তাদের এক ভাই ও দুই বোন আগেই মারা গেছেন।

প্রতিবেদনে এরশাদের শৈশব সম্পর্কে বলা হয়েছে, এরশাদ জন্মগ্রহণ করেন রংপুরে তার নানাবাড়িতে ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। তবে তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে বাবা-মায়ের সঙ্গে ভারতের কুচবিহারের দিনহাটায়।

স্কুল শেষ করে এরশাদ রংপুরে কারমাইকেল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পড়েছেন। ১৯৫০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি নেয়ার পর আইনজীবী হওয়ার চিন্তা থেকে ল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু আইন পড়া শেষ হওয়ার আগেই ১৯৫২ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে চাকরি পেয়ে তাতে যোগ দেন। ফলে তার আর আইনজীবী হওয়ার ইচ্ছা পূরণ হয়নি।

বাবার কাছে আইনজীবী হওয়ার অনু্প্রেরণা পান এরশাদ-এমন তথ্য জানিয়ে জিএম কাদের আরও জানিয়েছেন, তাদের বাবা মকবুল হোসেনও পেশায় আইনজীবী ছিলেন। মূলত তার কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এরশাদ।

পল্লীবন্ধুর লেখালেখির প্রতিভা নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে দৈনিক বাংলা পত্রিকায় তার অনেক কবিতা ছাপা হয়েছিল। তা নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নানারকম আলোচনাও ছিল।

এরশাদ তার আত্মজীবনী লিখেছেন। সেই বইয়ের নাম, ‘আমার কর্ম আমার জীবন’। এ ছাড়া তিনি কয়েকটি কবিতার বইও বের করেছেন।

যুগান্তর