শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি শাবি উপাচার্য

শাবি প্রতিনিধি :

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে এবার শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

শনিবার দুই দিনব্যপী ‘ন্যাশনাল ক্যাম্পাস জার্নালিজম ফেস্ট’র সমাপনী দিনে ‘কেমন চাই আগামীর ক্যাম্পাস?’ শীর্ষক সেশনে তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন খাতে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?’ শিক্ষার্থীদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছেলেদের দুইটি নতুন হল ও মেয়েদের একটি হল তৈরির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। আমরা ছাত্রীদের শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। এছাড়া শিক্ষকদের জন্য দুইটি বিল্ডিং, কর্মকর্তা ও তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

‘নিরাপদ ক্যাম্পাস’ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ড. জাফর ইকবালের উপর হামলার পর আমার কাছে সকলের দাবি ছিল ক্যাম্পাসে সীমানা প্রাচীর তৈরি করা। সীমানা প্রাচীর না থাকায় অনেক বহিরাগত যে কোন সময় যে কোন স্থান দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অপকর্ম করতে পারে। তাই ঈদের পরপরই সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু হবে।

‘কোন সমস্যা নিয়ে আপনার সাথে কিভাবে যোগাযোগ করব এবং এর জন্য কোন শিক্ষকের সুপারিশ নেয়া লাগবে কিনা’ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ২৪ ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেবায় নিয়োজিত। যে কোন সমস্যায় শিক্ষার্থীরা প্রক্টর, ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টার সাথে কথা বলতে পারে। তারপরও কিছু বলার থাকলে আমি সবসময় তাদের স্বাগত জানাব। এছাড়া আমার সাথে ফোন ও এসএমএসের মাধ্যমেও শিক্ষার্থীরা যোগাযোগ করতে পারবে।
এছাড়া ‘অফিসের কর্মকর্তা দ্বারা শিক্ষার্থীদের হয়রানি’ বিষয়ক প্রশ্নে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের যে কোন অভিযোগ আমলে নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‘পরিবহন সমস্যা’ নিয়ে তিনি বলেন, এ বছর আমরা মোট ৯টি বাস পাব। শিক্ষার্র্থীদের জন্য কিছুদিন আগেই আমরা ২টি বাস পেয়েছি। বছরের শেষের দিকে আরো ৩টি বাস পাব। এছাড়া শিক্ষকদের জন্য আরো ৪টি বাসের ব্যবস্থা করা হবে। বাসগুলো পেলে ভবিষ্যতে বিআরটিসি থেকে বাস ভাড়া নেয়া লাগবে না।

‘লাইব্রেরিতে বাইরের বই নিয়ে প্রবেশ ও প্রয়োজনীয় বই না পাওয়া’ বিষয়ক প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, বাইরের বই নিয়ে লাইব্রেরিতে প্রবেশ লাইব্রেরির নীতিমালার বাইরে তবে আমরা এটা নিয়ে পরবর্তীতে চিন্তা করব। প্রয়োজনীয় বই সংগ্রহের ব্যাপারে আমরা ‘ওপেন টেন্ডার মেথড’ অনুসরণ করব। এছাড়া এ ব্যাপারে নামকরা বিভিন্ন পাবলিকেশন্সের সাথে কথা বলা হবে।

উল্লেখ্য, শাবি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত এই উৎসবে ঢাবি, জাবি, চবি, রাবি, বাকৃবিসহ সারাদেশের ২৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২৫০জন ক্যাম্পাস প্রতিবেদক অংশগ্রহণ করেছেন।