সুযোগ পেলেই পুলিশকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন আরিফ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী সুযোগ পেলেই পুলিশকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা করেন। এরকম তিনটি ঘটনা ঘটিয়ে একটিতে সফল হলেও অপর দুটিতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

এক কর্মীকে আটকের অভিযোগে গত ১২ জুলাই মধ্যরাতে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থানের পর সে রাতে আটক কর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি।

গত ১৮ জুলাই রাত ৮ টায় মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর রোজভিউ হোটেলে প্রবেশ করতে গিয়ে তল্লাশির শিকার হন। ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক টিম ওই হোটেলে অবস্থান করায় প্রবেশমুখে একদল পুলিশ তল্লাশি করেন আরিফের দেহ। হোটেলে প্রবেশ করেই তিনি ক্ষোভ ঝারেন হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে। তিনি পুলিশের আচরণে তীব্র অসন্তোষ জানিয়ে একটি চেয়ারে বসে পড়েন।

হোটেল কর্তৃপক্ষ মেয়র প্রার্থী আরিফকে সন্তুষ্ট করেন। পরে মেয়র প্রার্থী হোটেলের একটি কক্ষে চলে যান।

আজ (শনিবার) আবার মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ)-এর কার্যালয়ের সামনে দলবল নিয়ে বসে পড়েন আরিফুল হক। অভিযোগ মামলা ও ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাঁর দুই কর্মীকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। এদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে উপ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে প্রায় আড়াই ঘন্টা অবস্থান নেন তিনি। তবে গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তিকে ছাড়েনি পুলিশ। তাদের সুনির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ফলে বেলা সাড়ে ৪টার দিকে অবস্থান তুলে নিয়ে সবাইকে নিয়ে বাসায় ফিরে যান আরিফুল হক। আদালতের মাধ্যমে কর্মীদের ছাড়িয়ে আনবেন বলেও এসময় ঘোষণা দেন তিনি।

সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ জানান, শুক্রবার রাতে আরিফের প্রচারণায় অংশ নেওয়া দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে। সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া এলাকা থেকে রাসেল আহমদ এবং সুমন আহমদ নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, পুলিশ সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। কোনো মামলা-ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমার কর্মীদের ধরপাকড় করছে। সিলেটে এই ধরণের কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। আমরা এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবো।

মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ওসমানীনগর থানার একটি মামলার এজাহারভূক্ত আসামী হিসেবে রাসেল ও সুমনকে আটক করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।

পুলিশ কার্যালয়ের সামনে আরিফুল হকের এভাবে বসে পড়াকে নাটক আখ্যায়িত করে সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, তিনি জনগণের সহানুভুতি আদায়ের জন্য একের পর এক নাটক করে চলছেন।

কামরান বলেন, আমি তাকে নাটক করা বাদ দিয়ে জনগণের মন জয়ের চেষ্টায় মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাবো।