সিলেটে বন্যার পানি কমছে, বাড়ছে দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিলেটে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কমতে শুরু করায় পাঁচ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে এই দুই নদীর পানি।

উজানের ঢল আর টানা বৃষ্টির কারণে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে সিলেটের জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগর উপজেলার নদী তীরবর্তী শতাধিক গ্রাম বন্যা আক্রান্ত হয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে গতকালের চেয়ে ২৭ সেন্টিমিটার, সিলেট ৪২ সেন্টিমিটার কমেছে। আর কুশিয়ারার পানি অমলসিদে ৩৮ সেন্টিমটার ও শেওলা পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার কমেছে।

তিনি বলেন, বৃষ্টি কমে যাওয়ায় ও পাহাড়ী ঢল না আসায় নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী তিন দিনে এ দুই নদীর পানি আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

হঠাৎ করে ঢলের পানি আসায় আকষ্মিক বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট জেলার অন্তত ৭০টি গ্রামের লাখো মানুষ। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা।

ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। গবাদী পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষ। ভারত থেকে আসা ঢলের কারনে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো বেশি বন্যা আক্রান্ত হয়েছে।

জকিগঞ্জ, বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগরে বন্যা নিয়স্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। উজানে নদীর পানি দ্রুত কমলেও ভাটিতে পানি কমছে ধীরগতিতে। এ অবস্থায় দুর্ভোগের শেষ নেই বন্যাদুর্গত এলাকায়। অনেক স্থানে নলকুপের পানিও দূষিত হয়ে পড়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানিরও সংকট দেখা দিয়েছে। সিলেট জেলা প্রশাসন বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছে।

সিলেট জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় এ পর্যন্ত ২৩১ মেট্রিকটন চাল ও তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলোতে সব ধরনের সরকারী সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।