সিলেট-জকিগঞ্জে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সিলেটে গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কানাইঘাট, গোয়াইনগাট, জৈয়ান্তাপুর, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার প্রায় ৬০টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

বিশেষ করে জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারের পুর্বে সায়লাসৃতি হাসপাতালের সামনে প্রায় তিনশত ফুট, সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের ভরন হাফছা মজুমদার কলেজের সামনে ও বারঠাকুরী ইউনিয়নের উত্তরকূল মেইন রোড প্রবল স্রোতের তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় সিলেটের সঙ্গে জকিগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপজেলার প্রায় ৮০ ভাগ এলাকার গ্রামীণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনো পানির নিচে।

জকিগঞ্জে সরকারিভাবে এখনো কোনো আশ্রয় শিবির খোলা হয়নি। ত্রাণ সামগ্রীর জন্য বন্যার্ত মানুষ হাহাকার করছে। এ পর্যন্ত ১২ টন চাল ও নগদ দেড় লক্ষাধিক টাকা সরকারি বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলায় বেসরকারিভাবে ২টি আশ্রয়শিবির খোলা হয়েছে।

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ জানান, উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন এখন বন্যা কবলিত। উপজেলার সুরমা ও কুশিয়ারা ডাইকের প্রায় ১২টি স্থানে ভাঙন দেখা দেয়ায় প্রবল বেগে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে হাতিডহর, নগরকান্দি, মুন্সিবাজারসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা পানিতে তলিয়ে গেছে।

এছাড়া জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, মানিকপুর,খলাছড়া, বিরশ্রী, সুলতানপুর, কাজলশাহ ও জকিগঞ্জ পৌরসভা এলাকার অধিকাংশ এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে। এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে ত্রান সামগ্রী প্রেরণের জন্য এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার থেকে কুশিয়ারা নদীর পানিও কমতে শুরু করবে। এতে উন্নতি হবে জকিগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির।