ঢলে প্লাবিত সিলেটের বিস্তীর্ণ জনপদ

অনলাইন ডেস্ক :

টানা বৃষ্টি ও ঢলে প্লাবিত হয়েছে পড়েছে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল। সিলেটের প্রধান দুটি নদী সুরমা ও কুশিয়ারার সবকটি পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। শুক্রবারও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুরমা নদীর পানি সিলেটে ২২ সেন্টিমিটার, কানাইঘাটে ২ দশমিক ৬ মিটার এবং কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলায় ৯৪ সেন্টিমিটার, অমলসীদে ১ দশমিক ৪৯ সেন্টিমিটার ও শেরপুরে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে প্রতিরক্ষা বাঁধের অন্তত ২০টি এলাকা।

দুই দীর পানি বেড়ে জেলার কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এছাড়া সারি ও পিয়াইন নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও জৈন্তুাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল। পানিতে রাস্তাঘাত তলিয়ে যাওয়ায় এ চার উপজেলার গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের অন্তত ২০ হাজার মানুষ।

প্রকৌশলী সিরাজুল জানান, গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং, আলীরগাঁও, রুস্তমপুর, ডৌবাড়ী, লেঙ্গুড়া, তোয়াকুল ও নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে পানি উঠেছে। জৈন্তুপুর উপজেলার নিজপাট, জৈন্তাপুর ও চারিকাটা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার ডুলটিরপাড়, বিরাখাই, শেওলারটুক, আসামপাড়া এলাকায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

কানাইঘাটে সুরমা নদীর উপচে পানি প্রবেশ করেছে কানাইঘাট উপজেলা সদরে। দক্ষিণ ও পূর্ববাজারের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া কানাইঘাট পৌরসভার বায়ুমপুর ও রামপুর গ্রামের বেশকিছু এলাকায় প্রবেশ করেছে বন্যার পানি। জকিগঞ্জ উপজেলায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদী তীরবর্তী অন্তত দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে সিলেট নগরের নিচু এলাকায়ও জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নগরীর সোবহানীঘাট, মেন্দিবাগ, মাছিমপুর এলাকায় বেশ কিছু বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান জানান, সীমান্তের ওপারে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে ঢলে এই প্লাবন। আগামী ২-১ দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বৃষ্টি কমলে পানি নামতে শুরু করবে। তিনি বলেন, পানি বাড়া অব্যাহত থাকলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে, কিন্তু এখনও বন্যা দেখা দেয়নি।