গোয়াইনঘাটে নুরুল ইসলামের খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সিলেটের গোয়াইনঘাটের ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিকনেতা নুরুল ইসলামের খুনিদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন নিহতের বড় ভাই ফখরুল ইসলাম।

শনিবার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গোয়াইনঘাট উপজেলার ২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের গোয়াইন গ্রামের ছয়ফুল আলমের ছেলে ফখরুল ইসলাম নিহত ভাইয়ের খুনিদের বিচারের এ দাবি জানান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার ভাই নুরুল ইসলাম সিলেট জেলা অটোরিক্সা (সিএনজি) শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি. ৭০৭) অর্ন্তভুক্ত বাইপাস-গোয়াইনঘাট উপ কমিটির সহ-সভাপতি। অন্যদিকে , ভাইয়ের খুনিরা এলাকার চাঁদাবাজ ও দাঙ্গাবাজ লোক। এই চাঁদাবাজ চক্রের মূল হোতা লেংগুরা গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে গোলাম সারওয়ার। তার অন্যতম সহযোগী পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের মেম্বার আতাউর রহমান আতাই। এই চাঁদাবাজেরা এলাকার পাথর কোয়ারি থেকে রাস্তাঘাট-বাঁশকলসহ বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। নুরুল ইসলাম এলাকার একজন প্রতিবাদী যুবক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তিনি এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে শ্রমিক নির্যাতনের প্রতিবাদ করে আসছিলেন। এর জের ধরে চাঁদাবাজদের মূল হোতা গোলাম সারওয়ার ও আতাই মেম্বার মিলে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এমনকি প্রকাশ্যে দুতিন মাস আগে নুরুল ইসলামকে হত্যা করবে বলে হুমকিও দেয়। এসব ঘটনায় থানায় মামলা মকদ্দমা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেরনে বলা হয়, গত ১৫ মে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পরগনা বাজারের পশ্চিমে টিয়ার খালের বাঁশের সাঁকো পার হওয়ার সময় খুনি গোলাম সারওয়ারের হুকুমে ও আতাই মেম্বারের নেতৃত্বে লাবু গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে আব্দুল মালিক, তার ভাই আব্দুস শহিদ এবং শামসুদ্দিনের ছেলে কয়েছ উদ্দিনসহ ২৫/৩০ জন সন্ত্রাসী নুরুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। দেশিয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। হাসপাতালে নেওয়ার পথে নুরুল ইসলাম মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ ওই রাতেই ৭ জনকে আটক করে। পরদিন আরও দুজনসহ মোট নয়জনকে আটক করে পুলিশ। ফখরুল ইসলাম বাদি হয়ে তার ভাইয়ের হত্যাকারী সারওয়ার ও আতাই মেম্বারসহ জড়িত ৩২ জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা (নং ৯২/ তাং ১৭/০৫/১৮) দায়ের করেন।

ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, এই হত্যা মামলা দায়ের করার পর থেকে আমার পরিবারকে খুনিরা নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। পুলিশ এখনো মূল খুনি সারওয়ার এবং আতাই মেম্বারকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। যে কারণে তারা মামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য নানা অপপ্রচার এবং ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এই খুনিদের দ্রæত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি খুনিদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। এবং আমাদের এই অসহায় নির্যাতিত পরিবারের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের ছোট ভাই জুয়েল আহমেদ, রাসেল আহমেদ, আত্মীয় আব্দুল হালিম।