শৈলীর তৃতীয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা

 
ডেস্ক রিপোর্ট :

বিশিষ্ট্য মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক এবং প্রবীন রাজনীতিবিদ আ. ন.ম. শফিকুল হক বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কৃতিসন্তান বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানকে উৎসর্গকৃত শৈলীর কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন প্রকৃত অর্থে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের সমতুল্য। মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমাদেরকে জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পথ প্রশস্ত করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শৈলীর এই উদ্যোগকে আমি আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।
শুক্রবার বিকাল ৩টায় দরগাহ গেইটস্থ শহিদ সোলেমান হলে প্রগতিশীল পাঠক সংঘ শৈলী কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০১৮’এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথাগুলো বলেন।
শৈলীর সভাপতি ফিদা হাসানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক সিলেটের ডাকের নির্বাহী সম্পাদক বিশিষ্ট্য গবেষক আবদুল হামিদ মানিক, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাহমুদ রাজা চৌধুরী, হলি চাইলড স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, সিলেট উইমেন্স মডেল কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল ওয়াদুদ তাপাদার, জমির আহমদ বহুমুখি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ নাজির হোসেন, জামিআ সিদ্দিকিয়ার পরিচালক মুফতি মনসুর আহমদ, শৈলীর উপদেষ্টা মীর ফয়সল আলী, উপদেষ্টা সচিব মাহবুব মুহম্মদ, উপদেষ্টা আরিফা সুলতানা, উপদেষ্টা হেলাল হামাম। প্রধান আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন শৈলীর প্রধান উপদেষ্টা কবি ও গবেষক সৈয়দ মবনু। শৈলীর শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক হাফিজ জামিল আহমেদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শৈলীর সহসভাপতি সালেহ আহমদ সাদি, অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহŸায়ক মো. জাফর ইকবাল, কুইজ প্রতিযোগিতার প্রধান নিরীক্ষক মাজেদুল ইসলাম চৌধুরী, শৈলীর শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি তানভির অনিক, শৈলী মহিলা শাখার সভাপতি সাইয়্যিদা মারহামা প্রমূখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গবেষক আবদুল হামিদ মানিক বলেন, আগে এক সময় ছিলো যখন শক্তি দিয়ে বিজয় অর্জন সম্ভব হতো, বর্তমানে তা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগ হলো জ্ঞানের যুগ। এই সময়ে জ্ঞান-বুদ্ধিতে যারা এগিয়ে থাকবে তারাই বিজয়ী হবে। পৃথিবীতে যারা যখন জ্ঞানের দিকে এগিয়ে ছিলো তাদের হাতেই তখন পৃথিবীর নেতৃত্বে ছিলো। আমরা ইতিহাসে দেখতে পাই মুসলমনরা যখন জ্ঞান অর্জনে এগিয়ে ছিলো তখন নেতৃত্ব তাদের কাছে ছিলো। বর্তমানে এগিয়ে আছে ইহুদীরা, তাই বিশ্বের বিভিন্ন দিকে নেতৃত্ব তাদের হাতে। আমরা যদি বিশ্বে আমাদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই তবে অবশ্যই জ্ঞানচর্চায় এগিয়ে যেতে হবে। প্রগতিশীল পাঠকসংঘ শৈলী মূলত এখানেই কাজ করছে বলে আমাদের পর্যবেক্ষণে মনে হয়। আমাদের বিশ্বাস বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে শৈলী যে কাজ করে যাচ্ছে তা জাতির মননশীল নেতৃত্ব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। আজকের প্রাকৃতিক প্রতিক‚লতার মধ্যেও এখানে যে বিশাল আয়োজন তা প্রমাণ করছে শৈলীর কাজের প্রতি ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের আস্থা রয়েছে।