করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় ইজতেমা মাঠ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর

 

ডেস্ক রিপোর্ট:

নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে কোয়ারেন্টিন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা কাজে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ ব্যবহার করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে তুরাগ তীরের ওই মাঠ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে ওই মাঠের জায়গাটি নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরি এক ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ইজতেমা মাঠে দুই হাজার মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া মতো ব্যবস্থা রয়েছে। প্রয়োজনে ইজতেমা মাঠেই আরও বড় পরিসরে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা এর জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা করোনাভাইরাস মোকাবেলায় দুই মাস ধরে চেষ্টা করছি। এজন্য অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশ অনেক ভালো আছে।

জাহিদ মালেক বলেন, ইতিমধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালকে এই রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরও অনেকগুলো হাসপাতাল চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে প্রায় দুই হাজার শয্যার ব্যবস্থা করা যাবে। তারপরেও আরও বড় জায়গার প্রয়োজন হলে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সে জন্যই বিশ্ব ইজতেমার জায়গাটি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো এলাকায় যদি পরিস্থিতির অবনতি ঘটে তাহলে প্রয়োজনে ওই এলাকাকে লক ডাউন (অবরুদ্ধ) করা হবে। মন্ত্রী জানান, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যে ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত বলে চিহ্নিত হয়েছেন, তাদের বেশির ভাগের বাড়ি মাদারীপুর ও ফরিদপুর জেলায়। এ তথ্য জানাতে গিয়ে মন্ত্রী মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করেন। জাহিদ মালেক বলেন, যদি অবস্থার আরও অবনতি হয় তাহলে ওই সব এলাকা লক ডাউন করা হবে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, করোনা রোধের প্রস্তুতি হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া মন্ত্রী জানান, সারা দেশে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৭ জন। গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার তথ্য জানায় আইইডিসিআর। এরবাইরে একজনের মৃত্যু হয়েছে।