শাহজালালের দরগায় দাঁড়িয়ে আরিফের জঘন্যভাবে মিথ্যাচার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

শাহজালালের দরগায় দাঁড়িয়ে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বাহ বাহ কুড়িয়েছিলেন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে। কিন্তু একদিনের মাথায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়ায় মুখোশ উন্মোচন হয় আরিফের। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মানুষের মুখে ছি ছি রব উঠেছে।

অনেকে বলেছেন, বিশ্বাস খাতকতায় ডক্টরেট ডিগ্রিধারী মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শৈশব থেকে নানা ছলচাতুড়ির মাধ্যমে নিজের ফায়দা হাসিল করতেন। সিটি মেয়র হওয়ার পরও সেই ধান্ধা ছাড়তে পারেননি। সরকারের বরাদ্দ দেয়া শ’শ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করে তা নিজের বলে নগরবাসীর বাহ বাহ কুড়াচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কতপিয় বড় নেতার আশ্রয়ে তিনি এমনটি করতে সাহস পাচ্ছেন বলে অনেকে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টাকায় কাজ করে তিনি বহুত বড় কামলা বলে জানান দিচ্ছেন। তবে এখন অনেকে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন তার ব্যবহার যথাযথ হয়েছে কী না তা তদন্ত করা প্রয়োজন।

সর্বশেষ মেয়র আরিফ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন কাজকে নিজের বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। এই মিথ্যাচার করেছেন ৭ জানুয়ারি হযরত শাহজালাল রহ. এর দরগায় দাঁড়িয়ে। মেয়র বলেছেন, শাহজালাল মাজার এলাকায় সফলভাবে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চালু হয়েছে। বিদ্যুতের তারসহ অন্যান্য সার্ভিস লাইনের ঝঞ্জাটমুক্ত এই সড়কের সংস্কার কাজও শেষ করা হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে।

কিন্তু একদিন পর ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয় প্রকল্পটি সিটি করপোরেশনের কোনো প্রকল্প নয়। ‘জঘন্যভাবে চপেটাঘাট।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেটে চলমান আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইন রূপান্তর প্রকল্প সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কোনো প্রকল্প নয়। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিশেষ উদ্যোগে বর্তমান সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, সিলেট বিভাগ’ শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে সিলেট শহরে পাইলট ভিত্তিতে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ লাইন রূপান্তর কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার ‘বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, সিলেট বিভাগ’ প্রকল্পের পরিচালক স্বাক্ষরিত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র শাহজালাল (রহ.) মাজারের সামনের রাস্তার দুপাশের ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইনকে সম্পূর্ণভাবে ভূ-গর্ভস্থ লাইনে রূপান্তর করে সফলতার সাথে গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে একদিকে নগরীর সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের নির্ভরশীলতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কাজে সিটি কর্পোরেশন সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে।

এছাড়া এ প্রকল্পের আওতায় আম্বরখানা উপকেন্দ্র থেকে চৌহাট্টা হয়ে বন্দরবাজার পর্যন্ত ২টি এবং শেখঘাট থেকে সার্কিট হাউজ পর্যন্ত আরও একটি ১১ কেভি ফিডারকে সম্পূর্ণভাবে ভূ-গর্ভস্থ লাইনে রূপান্তরের কাজ চলছে। শীঘ্রই কাজগুলি সম্পন্ন হবে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি শাহজালাল (রহ.) মাজারের সামনের রাস্তার দুপাশের ওভারহেড বৈদ্যুতিক লাইনকে সম্পূর্ণভাবে ভূ-গর্ভস্থ লাইনে রূপান্তর করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হওয়ার পর বিষয়টি বেশ আলোচনায় আসে। দেশে-বিদেশে থাকা সিলেটী ও বাঙালীরা বিষয়টির প্রশংসা করে প্রকল্পটি সিটি কর্পোরেশনের মনে করে কৃতজ্ঞতা জানান। এরপরই এ বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।