কুলাউড়ায় শিক্ষক দম্পতির জ্ঞান ফেরেনি গত ৫ দিনেও

 

ডেস্ক রিপোর্ট:

কুলাউড়া পৌরশহরের টিটিডিসি এলাকায় নিজেদের বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় প্রবীণ শিক্ষক দম্পতিকে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের কুলাউড়া উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে পাঠান।

বর্তমানে তারা সিলেট শহরের নয়াসড়কের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মঙ্গলবার সকালে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাদের জ্ঞান ফিরে আসেনি, লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

প্রবীণ শিক্ষক দম্পতি হলেন, কুলাউড়া নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালযের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল বাছিত চৌধূরী (৮০) ও তার স্ত্রী খালেদা বেগম চৌধুরী (৬৫)। তারা দুইজন নিজেদের বাড়িতেই থাকতেন। তাদের এক ছেলে এজাজ আহমদ চৌধুরী ও ১ মেয়ে ফারহানা চৌধুরী কানাডায় ও এক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ২ জানুয়ারি রাতে এক অপরিচিত মহিলা তাদের বাসায় এসে গৃহপরিচারিকার কাজ নেয়। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এক প্রতিবেশী শিক্ষকের বাসায় বেড়াতে এসে দেখেন দুইজন দুই বিছানায় অচেতন অবস্থায় শুয়ে রয়েছেন। ঐ সময় গৃহপরিচারিকা বলেন, তাদের প্রেসার বেড়েছে, আপনি বসেন আমি ঔষধ নিয়ে আসি বলে বেড়িয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ যাবৎ ঐ গৃহপরিচারিকা ফিরে না আসায় প্রতিবেশী মহিলার সন্দেহ হয়। তিনি আশেপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করেন।

খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কুলাউড়া থানার এসআই(তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, পুলিশ মহিলার সন্ধান করছে, তারা একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য হতে পারে।

গত সোমবার গভীর রাতে মাউন্টএডোরার সহকারি অধ্যাপক ডাঃ জাবেদ জিল্লুর বারি জানান, এদের অতিমাত্রায় ঘুমের ঔষধ খাওয়ানো হয়েছে। বয়স বেশি হওয়ায় এদের জ্ঞান ফিরতে সময় লাগছে। বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।