মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে টেনিস কোর্টে ওসাকা

 

স্পোর্টস ডেস্ক

‘মৃত্যু ভয়’ কাকে বলে, অভিজ্ঞতা হলো নাওমি ওসাকার। টার্কস ও কেইকস দ্বীপপুঞ্জে বেড়াতে গিয়ে এ নির্মম অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। সেজন্য নতুন মৌসুমে অন্য দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মাঠে নামছেন তিনি।

গেল বছরটি দারুণ কেটেছে ওসাকার। জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ান ও ফ্রেঞ্চ ওপেন। গ্র্যান্ডস্ল্যামের পাশাপাশি কয়েকটি কাপও শোকেসবন্দি করেছেন। শিগগির নতুন মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। কয়েকদিন পরই নতুন বছরের (২০২০ সাল) প্রথম প্রতিযোগিতা ব্রিসবেন আন্তর্জাতিকে নামছেন জাপানি এই তরুণী।

এর আগে সেই অভিজ্ঞতার কথা বললেন ওসাকা। নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার আগে কয়েকদিন ছুটি কাটাতে টার্কস ও কেইকস দ্বীপপুঞ্জে গিয়েছিলেন তিনি। এক অর্থে তা ছিল তার ‘প্রথম অবকাশযাপন’।

ওসাকা বলেন, প্রথম ক’দিন খুব ভালো কেটেছিল। আমার বোন মারি সঙ্গে ছিল। এরপর একদিন সে আমাকে প্যাডলবোর্ড করতে বলে। সেটা করতে গিয়ে স্রোতের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম আমরা। সেদিন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি।

প্রথমে অগভীর পানিতে ছিলেন দুই বোন। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্রোতের টানে দূরে চলে যেতে থাকেন তারা। তিনি বলেন, ওই সময় আমি বোনকে বলি, আমাকে কতদূর নিয়ে যেতে চাইছিস! আমরা যে বাড়িতে উঠেছি, সেটাও তো এখন অনেক ছোট দেখাচ্ছে। এছাড়া আমি খুব একটা ভালো সাঁতার কাটতে পারি না।

আতঙ্কে একপর্যায়ে পানিতে পড়ে যান ওসাকা। তিনি বলেন, পানিতে পড়ে ক্যারীবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের হাঙরের কথা মনে পড়ছিল আমার। সেসময় বোনকে চিৎকার করে বলি, আমি যদি মরি, সেজন্য তুই দায়ী থাকবি। মাকে গিয়ে জবাব দিস, কীভাবে আমি টার্কস ও কাইকসে মরলাম।

এখন সেই ঘটনার কথা ভেবে ওসাকার হাসি পায়। তবে সেই মুহূর্তে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। ২২ বছর বয়সী টেনিস সেনসেশন বলেন, কাঁদো কাঁদো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল আমার। শেষ পর্যন্ত আমি বোর্ডে ফিরে আসতে সক্ষম হই। তখন মারি বলে, আমি সবাইকে বলব; একটা হাঙর দেখেছি এখানে।

এ অভিজ্ঞতা ওসাকার টেনিস-দর্শনেও প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, জীবনে অনেক কিছুর অভিজ্ঞতা হলো। সবকিছু কাজে লাগাতে চাই। আমার দৃষ্টিভঙ্গি এখন এরকম-অনেক কিছু আমি করে দেখিয়েছি, যা কখনও করে দেখাতে পারব ভাবিনি। আমাকে আরও অনেক কিছু করে দেখাতে হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার