আরিফ শাহরিয়ারএর পক্ষ থেকে বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম

হাবিবা আক্তার জেছি

সিলবাংলা ডেস্ক ঃপ্রকৃতিপ্রেমী আরিফ শাহরিয়ার: হাবীবুল্লাহ্‌ বাহার কলেজ, (ঢাকা শান্তিনগর) ছাত্রলীগ নেতা আরিফ শাহরিয়ার এর পক্ষ থেকে বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম।

 

বিস্তারিতঃ আরিফ শাহরিয়ার বলেছেন যে “গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান”…..🌴🌳🌴🌱🌲🌱

 

প্রকৃতিতে চলছে বর্ষাকাল।এই সময়টা হলো বৃক্ষ রোপণের একদম উপযুক্ত সময়।কারণ এ সময় গাছ তার প্রয়োজনীয় পানি পর্যাপ্ত পরিমাণে পেয়ে থাকে।

 

বৃক্ষ কেবল নিসর্গ প্রকৃতির শোভা নয়, মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের জীবনে বৃক্ষের ভূমিকা এত অপরিহার্য যে, বৃক্ষহীন পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। আবহাওয়া ও জলবায়ুসহ প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বনজ সম্পদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রাকৃতিক মহামারি থেকে দেশকে রক্ষা করতে ব্যাপক হারে বৃক্ষরোপণ করতে হবে।

 

আমরা সবাই অবগত আছি, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অধিক জরুরি হলো অক্সিজেন। আমরা প্রশ্বাসে দেহের ভেতর প্রবেশ করাই অক্সিজেন আর নিঃশ্বাসে ছেড়ে দেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড নামক গ্যাস। ভীষণ জরুরি এই অক্সিজেন গ্যাস আমরা পাই বৃক্ষ বা গাছ থেকে। বৃক্ষ প্রতিনিয়ত আমাদের জন্য অক্সিজেন গ্যাস সরবরাহ করে। তাই আমরা যত বেশি বৃক্ষরোপণ করবো তত বেশি অক্সিজেন সরবরাহ হবে। এতে মানুষ সুস্থ-সবলভাবে বাঁচবে। আর পরিবেশ দূষণের হারও কিছুটা কমবে।বর্তমানে বিশ্বের বনভূমি উজাড় হতে হতে অর্ধেকে এসে দাঁড়িয়েছে। ফলে বিশ্ব পরিবেশ এখন হুমকির মুখে পড়েছে। অথচ মানুষের বসবাসের উপযোগী পৃথিবীর জন্য দরকার গাছপালা। কেবল বেঁচে থাকার অক্সিজেনই নয়, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায়ও পালন করে অপরিহার্য ভূমিকা। প্রস্বেদন ও বাষ্পীভবনের মাধ্যমে বৃক্ষ আবহাওয়াকে বিশুদ্ধ রাখে, জলীয়বাষ্পের সাহায্যে বাতাসের আদ্রতা বাড়িয়ে বায়ুমণ্ডল শীতল রাখে। শুধু তাই নয়, বৃক্ষ মাটির উর্বরতা বাড়ায় এবং মাটির ক্ষয়রোধ করে।

 

ভারসাম্যমূলক প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য একটি দেশের অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা দরকার। সেখানে সরকারি হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের বনভূমির পরিমাণ ১৭ শতাংশ। আমাদের দেশে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে ঐ বনভূমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে। গ্রাম বা শহরাঞ্চলে প্রতিনিয়তই নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ঘটনা হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে আবহাওয়ার উপর। ফলস্বরূপ অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, খড়াসহ নানারকম প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

 

বাড়ির আঙিনায়,আনাচে কানাচে,অনাবাদি ভূমিতে, খাল পুকুর ও নদীর পাড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে গাছ লাগিয়ে প্রকৃতি ও পরিবেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন।নিজ নিজ উদ্যোগে আমরা বৃক্ষরোপণ করতে পারি।প্রকৃতিকে সবচেয়ে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তোলা যায় বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে,আমরা যদি বেশি বেশি বৃক্ষরোপন করতে পারি, তাহলে আমাদের দেশ একদিন জীববৈচিত্র্যের আধারে পরিণত হবে। প্রকৃতিকে ধ্বংস নয়,আসুন প্রকৃতিকে সাজাই নতুন করে। আমাদের সবার উদ্যোগেই প্রকৃতি হয়ে উঠুক সবুজময়।আর সেই সবুজে আমাদের জীবন হবে নির্মল ও সুন্দর।…