শাস্তির মুখে কামাল, রোকন, মোতাচ্ছিরুল, ছলমান ও সুয়েব

 

ডেস্ক রিপোর্ট:

সিলেটজুড়ে আওয়ামী লীগের অন্তত পাঁচ নেতা শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে আগামী রবিবার থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলটির নীতিনির্ধারকরা।

গেল মার্চ মাসে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নির্দেশনা না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় এসব নেতাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিষয়টি একেবারে স্পষ্ট করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আগামী রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আওয়ামী লীগের এই শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন সিলেট বিভাগের ৫ নেতা। এরা হলেন- সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল আহমদ, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন রোকন, মৌলভীবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম শফি আহমদ ছলমান এবং বড়লেখা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুয়েব আহমদ।

সুনামগঞ্জের মোজাম্মেল হোসেন রোকন সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের ভাই।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া হিসেবে প্রথমে ওই বিদ্রোহীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে দলীয় পদ থেকে এসব নেতাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে।

শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে না শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এসব বিদ্রোহী প্রার্থী এবং তাদের মদদদাতাতের চিহ্নিত করে রাখবে আওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে এসব নেতাদের কিংবা মদদদাতাদের দলীয় কোনো পদ-পদবী এবং নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে না।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নানাভাবে আমরা তাদের শাস্তি দেব। ধরুন যারা এমপি আছেন, তাদের আগামীতে মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত করব। দলের সম্মেলনে যারা পদ-পদবীতে আসতে চাইবেন তাদের স্থান দেওয়া হবে না। শুধু বহিষ্কারই যে শাস্তি তা কিন্তু নয়, নানাভাবে শাস্তি নিশ্চিত করা যায়।’