বাঁচতে চায় ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত মাসুমা

 

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:

মাসুমা আক্তার তামিমা। ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ৬ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। বাবা সামান্য একজন রাজমিস্ত্রি। টানাপোড়েনের সংসার হলেও দশ বছর বয়সী মাসুমার শৈশবের দুরন্তপনায় ছিল না সেই ছাপ। অন্য শিশুদের মত সেও ছিল চঞ্চলা আর দুরন্ত। লেখাপড়ায়ও ছিল অসম্ভব ঝোঁক। সেই মাসুমারই আজ ঠাই হয়েছে হাসপাতালের বিছানায়। অনেকটা নিরব-নিথর পড়ে আছে সেখানে। চলছে চিকিৎসা। তাকে দেয়া হচ্ছে ক্যামেথেরাপী। কারণ সে যে মরণব্যাধী ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত। এতে করে তার শৈশবে যেমন ঘটেছে ছন্দপতন, তেমনি অভাবের সংসারে নেমে এসেছে হতাশার অন্ধকার।

মাসুমার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর গ্রামে। স্থানীয় বাওনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থীর পিতার নাম মজর আলী। পেশায় যিনি রাজমিস্ত্রি। মা-স্ত্রী ও ৬ সন্তান নিয়ে তার সংসার। গত ৬ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে মুঠোফোনে এ প্রতিবেদক কথা বলেন মজর আলীর সাথে।

তিনি জানান, গেল রমজানে মাসুমার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রথমে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করি। চিকিৎসকের পরামর্শে সেখান থেকে তাকে মাউন্ড এডোরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। বর্তমানে এখানেই তার চিকিৎসা চলছে। এই চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল হওয়াতে আমি একেবারে নিঃস্ব হয়ে পড়েছি। ইতিমধ্যে সমাজের বিত্তবানদের দেয়া অর্থে মাসুমাকে ৪টি ক্যামোথেরাপী দেয়া হয়েছে। পুরো চিকিৎসায় প্রয়োজন ২৫ লক্ষ টাকা। সমাজের বিত্তবানরা যদি সহযোগিতার হাত বাড়ান, তাহলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে আমার আদরের মেয়ে মাসুমা।

মজর আলী তার ০১৭৯২-৫৪৪৬৭০ (বিকাশ পার্সোনাল) ও মাসুমার মামা মনসুর আলীর ০১৭৩০-৬৬১১৬০ (বিকাশ পার্সোনাল) নাম্বারে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের আর্থিক সহযোগিতার হাত প্রসারের জন্যে সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।