পোল্ট্রি শিল্পের সমস্যা নিরসনে “বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামারী পরিষদ” গঠন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক খাত পোল্ট্রি শিল্প। এটি কৃষি অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপখাত। সম্প্রতি এর প্রবৃদ্ধিতে ভাটা পড়েছে। এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বার্ড ফ্লুসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ, উচ্চ খাদ্যমূল্য ও ওষুধের মূল্য বৃদ্ধির অভিঘাতে বিপর্যয়ের মুখোমুখি এসে দাড়িয়েছে পোল্ট্রি খামারগুলো।

ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে ছোট ও মাঝারি ধরণের অসংখ্য খামার। তাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে খামারের মালিকরা। কাজ হারিয়েছে হয়েছে অনেক শ্রমিক। বাজারে দাম বেড়েছে মুরগীর। দাম বেড়েছে বাচ্চারও। খামার পরিচালনার খরচ বেড়েছে। কমেছে মুনাফা। ইতোমধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটেছে বিদেশী পুঁজির। তাতে এক অসম প্রতিযোগিতার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে দেশি পুঁজিতে গড়ে ওঠা সীমিত আয়ের খামারগুলো।

পোল্ট্রি শিল্পের এই চলমান সংকট নিরসনে এবং ৬০ লক্ষ খামারীর অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সৃষ্ট “বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামারী পরিষদ” বাংলাদেশ বিভিন্ন জায়গায় প্রান্তিক খামারিদের কে নিয়ে কমিটি গঠন করে। এই ধারাবাহিকতায় সিলেট বিভাগের অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি জেলায়, জেলা কমিঠি গঠনের লক্ষ্যে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি অনুমোদেন দেয় বাপোখাপ।

সিলেট বিভাগের সিলেট জেলার পোল্ট্রি খামারী সুহেল আহমদ কে সমন্বয়কারী এবং মৌলভীবাজার জেলা থেকে পোল্ট্রি খামারী কুলাউড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম, খামারী মিছবাহ উদ্দিন, সুনামগঞ্জ জেলা থেকে খামারী মিজানুর রহমান ও সাব্বির আহমেদ, হবিগঞ্জ জেলা থেকে খামারী এ জে জাবেদ ও মাহবুব উদ্দীন এবং সিলেট জেলা থেকে খামারী মাইনুল হোসেন কে যুগ্ম সমন্বয়কারী করে “বাপোখাপ” সিলেট বিভাগীয় সমন্বয় কমিটি গঠিত।