শাবিপ্রবির তৃতীয় সমাবর্তন আগামিকাল বুধবার

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এক যুগ পর আগামীকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেটের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) তৃতীয় সমাবর্তন। সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

সমাবর্তনে অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন সর্বমোট ৬ হাজার ৭৫০ জন শিক্ষার্থী। ২০ জন শিক্ষার্থী পাবেন রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক এবং অনুষদে প্রথম ৮৯ জন শিক্ষার্থী পাবেন উপাচার্য অ্যাওয়ার্ড।

সমাবর্তনকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাস সেজেছে বাহারি রঙে। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, এককিলো, গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, চেতনা একাত্তর, বিভিন্ন একাডেমিক ভবনগুলো রঙ-বেরঙে সাজানো হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তাঘাট, বিভাগ গুলোর করিডোর।
এদিকে এক যুগের বেশি সময় পরে আয়োজিত সমাবর্তনকে সফলভাবে সম্পন্ন করতে শেষ সময়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ব্যস্ত সময় পার করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রিকৃত শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দিতে ক্যাম্পাসকে নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মূল অনুষ্ঠানের মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির করা হয়েছে।

সমাবর্তনকে সামনে রেখে নিরাপত্তার চাদরে বেষ্টন করা হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। সাদা পোশাকে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে বিভিন্ন শাখার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবৃন্দ।
এর আগে সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েটদের করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

একই সাথে সমাবর্তনের দিন গ্র্যাজুয়েটদের করণীয় সম্পর্কেও বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রবেশের সময় আমন্ত্রণপত্র, জাতীয় পরিচয় পত্র বা পার্সপোর্ট বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকতে হবে। তবে আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়।

মোবাইল ফোন, হাত ব্যাগ, ব্রিফকেস, ক্যামেরা, ছাতা ও পানির বোতল বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে নিয়ে আসা যাবে না। অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে গ্র্যাজুয়েটদের অতিথিবৃন্দ একাডেমিক ভবন-ই ও আইআইসিটি ভবনে অবস্থান করতে হবে।

সমাবর্তনের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও অধীভুক্ত কলেজের অধ্যক্ষ/ইনস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ বেলা ২টা ২০ মিনিটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন-২ এর সামনে উপস্থিত হবে।

গ্র্যাজুয়েটরা সকাল সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১টা ৪৫মিনিটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান ফটক দিয়ে সমাবর্তনস্থলে প্রবেশ করতে হবে। অতিথিরা দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা আড়াইটার মধ্যে সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শোভাযাত্রা প্যান্ডেলে প্রবেশের সময় থেকে তিনি মঞ্চে আসনগ্রহণ না করা পর্যন্ত অতিথিবৃন্দসহ সমাবর্তনে অংশগ্রহণকারী সকলে নিজ নিজ আসনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবে। উপাচার্য কর্তৃক সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণার পর উপাচার্যের শোভাযাত্রা সমাবর্তন স্থান ত্যাগ না করা পর্যন্ত সবাই নিজ নিজ আসনে থাকবে।

এছাড়াও ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়া ও আইআইসিটি ভবনের ক্যাফেটেরিয়া সমাবর্তনের দিন খোলা থাকবে এবং সমাবর্তনের দিন বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার খোলা থাকবে। সেখানে অংশগ্রহণকারী গ্র্যাজুয়েটবৃন্দ প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সমাবর্তনকে সফল করতে আমাদের ১৭ টি উপকমিটি কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমরা যে ভাবে পরিকল্পনা করেছিলাম ঠিক সেভাবেই সকল কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি একটি সফল সমাবর্তন উপহার দিতে পারবো শিক্ষার্থীদের।
এছাড়াও এবছরের ডিসেম্বরে চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান তিনি।